আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে পাকিস্তান ও চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। কেননা তালেবান সরকার ও সংগঠনটির নেতারা নানা দিক থেকেই চীন ও পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে ইউরোপ। ফলে সঙ্গতভাবেই এটা ধরে নেওয়া যায় যে, আফগান নাগরিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে ইউরোপীয় সমাজগুলো ও রাজনীতিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। বিষয়টির প্রতি তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। এটি তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে
আরববিশ্বে ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্দিন চলছে। মিসরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতাচ্যুতি ও জেলখানায় করুণ মৃত্যুর পর দেশটিতে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীরা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান কাতারকে তাদের বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে মর্যাদা দেয়। এ-কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব ও তালেবানের মধ্যে যোগাযোগ ও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজের একটি চমৎকার অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে কাতার
শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান ও আফগানিস্তানের সুন্নি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন তালেবানের মধ্যে একসময় চরম বৈরিতার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে গোষ্ঠিগত ধর্মীয় বিরোধকে একপাশে সরিয়ে রেখে তারা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের এই পরিবর্তিত সম্পর্কের মূল কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। উভয়পক্ষেরই অভিন্ন শত্রু যুক্তরাষ্ট্র