আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের গতিবিধি সম্পর্কে যেসব বিশ্লেষকের সম্যক ধারণা ছিল, তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের করুণ পরিণতি কোনো বিস্ময়ের সৃষ্টি করেনি। তবে, মার্কিন প্রশাসন সবসময় এসব বিশ্লেষককে এড়িয়ে গেছে এবং নানা ধরনের উপহাস করা হয়েছে তাদেরকে নিয়ে
তুরস্ক আবার ভূরাজনীতির কেন্দ্রে উঠে এসেছে। আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আঙ্কারার কদর আরও বেড়েছে। তবে এর আগেই বৈরী কয়েকটি দেশ তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এর সর্বশেষ উদাহরণ তুরস্কের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আর্মেনিয়া। এর আগে সৌদি আরব ও মিসরও আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র কেন এভাবে আফগানিস্তান ছাড়ল, তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কোনো কোনো সমালোচক যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারকে ‘পরাজয়’, আবার কেউ কেউ ‘লজ্জাজনক পশ্চাদপসরণ’ হিসেবে অভিহিত করছেন। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে
পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এই সম্পর্কের ভিত বেশ মজবুত। যদিও মাঝেমধ্যে দুই দেশের মধ্যে মান-অভিমানের মতো যৎসামান্য দূরত্ব তৈরি হয়েছে, পরে আবার সেই সম্পর্কে জোড়া লেগেছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিমান হলেও কখনও সম্পর্কের মূল ভিত্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হতে দেখা যায়নি
২০০১ সালে পশ্চিমা সামরিক অভিযানে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠি তালেবান। মাদরাসা ছাত্রদের নিয়ে ১৯৯০-এর দশকে গড়ে ওঠা এই সংগঠনটি দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে