চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা যত বাড়ছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দিকে মনোযোগও তত বাড়ছে। উদীয়মান বাজার, বিস্তীর্ণ ও বৈচিত্রপূর্ণ এই অঞ্চলটি ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠছে। এশিয়া- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আইপিইএফ ধারণা তুলে ধরেছে। মূলত আসিয়ানের সাথে সহযোগিতার জন্য চীন যে আরসিইপি'র ভিত্তিতে কাজ করছে, তার মোকাবেলার জন্যেই যুক্তরাষ্ট্র আইপিইএফ নিয়ে এসেছে। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখানে খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না, কারণ তাদের প্রস্তাাবে বাণিজ্য বাধা দূর করার ব্যাপারে কোন প্রতিশ্রুতি নেই। অন্যেরা বলছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলেও এই অঞ্চলে বেশ কিছু ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে তাদের। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের প্রথম দিকে পশ্চিমা দেশগুলো একজোট হয়ে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু এখন ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দেয়া ও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো চাচ্ছে, রাশিয়াকে তাদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। এ জন্য যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলেও তারা মেনে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানিসহ ইউরোপের অন্য অনেকগুলো দেশ মনে করছে, ছাড় দিয়ে হলেও ইউক্রেনের উচিত, রাশিয়ার সাথে আলোচনায় বসা। এবং একটা সমঝোতার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধের ইতি টানা উচিত। এদিকে, জরিপে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেয়ে যুদ্ধের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়ায় পশ্চিমা নেতাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে জনগণ। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাসে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের টার্গেট নিয়েই এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল। তবে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের গতিপথ এখন আর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে নেই, বরং ধীরে ধীরে রাশিয়ার দিকেই ঝুকে পড়ছে।
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমফের সর্বশেষ তালিকায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় ২০তম অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। ইরানের...
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করেই গোটা বিশ্বের রাজনীতি ও অর্থনীতি বড়ো আকারের ধাক্কা খেয়েছে। তবে তা এখানেই থামবে বলে মনে হচ্ছে না। রাশিয়া যখন সাবেক সেভিয়েত ইউনিয়নের আওতাধীন এলাকাগুলোর ওপর নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র পথে অগ্রসর হয়েছে, তখন বলকান অঞ্চলেও সাবেক যুগোশ্লোভিয়ার আওতাধীন অঞ্চলগুলোতে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। সার্বিয়া ও বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনাও নিজেদের স্বার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মস্কোতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। কেউ বা স্বাধীন দেশের জন্য কাজ করছে আবার কেউ বা বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের চেষ্টা করছে। বলকান অঞ্চলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে মস্কো আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে পরোক্ষ লড়াইও শুরু হয়ে গেছে। বলকান অঞ্চলে চলমান অস্থিরতা ও আঞ্চলিক সংকট নিয়ে এই প্রতিবেদন।