সামরিক শক্তির দিক দিয়ে তুরস্কের অবস্থান বিশ্বে ১১তম। তুরস্কের রয়েছে নিজস্ব উদ্ভাবিত স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইলসহ বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী মিসাইল। সমরাস্ত্র শিল্পে তুরস্ক একটি উন্নত দেশ। বিশ্বের শীর্ষ সমরাস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় তুরস্কের অবস্থান ১৩তম। ২০২০ সালে তুরস্ক ২ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে। তুরস্কের নিজস্ব তৈরি মিনি বিমানবাহী রণতরী আনাদুল এ বছরই সার্ভিসে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তুরস্ক উদ্ভাবন করছে হেলিকপ্টার ইঞ্জিন। তাদের রয়েছে নিজস্ব তৈরি প্রশিক্ষণ এবং লাইট অ্যাটাক বিমান। বর্তমানে তারা উদ্ভাবনের পথে রয়েছে টিএফ-এক্স নামক ফিফথ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার। মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্কসহ তুরস্ক তাদের স্থলবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমরাস্ত্র নিজেরা তৈরি করে। ড্রোন বিমান নির্মাণের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার তারা সফল পরীক্ষা চালিয়েছে শক্তিশালী আনম্যানড সারফেস ভেসেলের।
আধুনিক তুরস্কের আয়তন ৩ লাখ ২ হাজার ৪৫৫ বর্গমাইল। জনসংখ্যা ৮ কোটি ৩৬ লাখ। তুরস্কের মোট সৈন্যসংখ্যা ৮ লাখ ৯৫ হাজার । সক্রিয় সৈন্যসংখ্যা ৩ লাখ ৫৫ হাজার। রিজার্ভ সৈন্য ৩ লাখ ৮০ হাজার। প্যারা-মিলিটারি ১ লাখ ৬০ হাজার। সৈন্যসংখ্যার দিক দিয়ে ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের পর তুরস্ক দ্বিতীয় বৃহৎ সমরশক্তির দেশ। ২০২০ সালে তুরস্কের সামরিক বাজেট ছিল ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার। তুরস্কের ট্যাঙ্কসংখ্যা ৩ হাজার ৪৫টি। আরমারড ভিহিক্যাল ১১ হাজার ৬৩০টি। সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৯৪৩টি। টাউড আর্টিলারি ১ হাজার ২০০টি। তুরস্কের রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ৪০৭টি।
ন্যাটোর নিউক্লিয়ার শেয়ারিং পলিসি অনুযায়ী তুরস্কের কাছে ৯০টি বি৬১ পারমাণবিক বোমা মজুদ রয়েছে। এসব বোমা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। আক্রান্ত হলে তুরস্ক এ বোমা ব্যবহার করতে পারবে। তুরস্কের কাছে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম। এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা এবং মোস্ট অ্যাডভান্সড হিসেবে স্বীকৃত।
তুরস্ক বিমান বাহিনীর মোট বিমানসংখ্যা ১ হাজার ৫৬টি। তুরস্কের যুদ্ধ বিমান ২০৬টি। সামরিক পরিবহন বিমান ৮০টি। প্রশিক্ষণ বিমান ২৭৩টি। তুরস্কের স্পেশাল মিশন বিমান ১৯টি। ট্যাঙ্কার ফ্লিট ৭টি। তুরস্কের সামরিক হেলিকপ্টার ৪৭১টি। এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১০৪টি।
তুরস্কের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ২৪৫টি ফোর্থ জেনারেশন এফ- ১৬ জঙ্গি বিমান রয়েছে। এফ-১৬ একটি সুপারসনিক মাল্টি রোল ফাইটার জেট। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৪৮টি এফ-৪ ফ্যানটম বোমারু বিমান রয়েছে। সুপারসনিক এ বিমানের ইঞ্জিনসংখ্যা ২টি। বোয়িং নির্মিত এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে ৪টি। তুরস্ক পাকিস্তান থেকে ৫২টি মুশক প্রশিক্ষণ বিমান ডেলিভারি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি অ্যাটাক হেলিকপ্টারের একটির অধিকারী বর্তমানে তুরস্ক। এর নাম টি-১২৯। এর নির্মাতা তার্কিস এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ টিএআই । তার্কিস টি-১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার ইতালীর এ-১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টারের উন্নত ভার্সন। এ-১২৯ উদ্ভাবক ইতালীর লিওনার্দোর হেলিকপ্টার নির্মাতা আগস্ট ওয়েস্ট ল্যান্ড। তুরস্ক ইটালির কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে নির্মাণ করছে তার্কিস ভার্সন টি-১২৯। এটি এয়ার টু এয়ার এবং এয়ার টু গ্রাউন্ড শক্তিশালী মিসাইল বহন করতে পারে।
তুরস্কের কাছে বর্তমানে ৬২টি টি-১২৯ হেলিকপ্টার রয়েছে। সম্প্রতি ফিলিপাইনের কাছে তুরস্ক এ হেলিকপ্টার বিক্রির অনুমতি পেয়েছে।
তুরস্কের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪টি কোবরা ও সুপার কোবরা অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে। এ ছাড়া চিনুক পরিবহন হেলিকপ্টার রয়েছে ১১টি। তুরস্কের হেলিকপ্টারের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেল, সিকরস্কি ছাড়া ইউরোকপ্টার রয়েছে। তুরস্ক স্পেন এবং ফ্রান্সের সাথে যৌথভাবে নির্মাণ করেছে ৬টি শক্তিশালী সামরিক পরিবহন বিমান।
তুরস্কের কাছে নিজস্ব তৈরি নয় ধরনের বিপুল পরিমাণ শক্তিশালী সামরিক ড্রোন বিমান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বায়রাকটার টিবি-২, আঙ্কা এবং আকিঞ্চি । সিরিয়ায়, লিবিয়া এবং সর্বশেষ আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী আলোচিত তুরস্কের ড্রোন প্রযুক্তি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী তৈরি হয়েছে তুরস্কের ড্রোন বিমানের চাহিদা।
বর্তমানে বিশ্বের সেরা ১০টি নৌ বাহিনীর একটি গণ্য করা হচ্ছে তুর্কি নেভিকে । শক্তিশালী নিজস্ব রণতরী তৈরি, প্রযু্িক্তগত উন্নতি এবং স্বনির্ভরতার কারনে তুরস্ক নৌবাহিনী দ্রুত বিশ্বমানের নৌ শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। তুরস্ক নৌ বাহিনীতে শীঘ্রই যুক্ত হতে যাচ্ছে নিজস্ব তৈরি শক্তিশালী সাবমেরিন, ডেস্ট্রয়ার এবং বিমানবাহী রণতরী।
তুরস্কের মোট রণতরী ১৪৯টি। এর মধ্যে ফ্রিগেটস ১৬টি। করভেটস ১০টি। সাবমেরিন ১২টি। তুরস্কের টহল জাহাজ ৩৫টি। মেরিন ওয়ারফেয়ার ১১টি।
এ বছর তুরস্ক নেভিতে যুক্ত হওয়ার কথা মোট ৬টি অ্যাটাক সাবমেরিন। জার্মানির সাথে যৌথভাবে তুরস্ক নির্মাণ করছে এসব সাবমেরিন। তুরস্কের সবগুলো সাবমেরিন জার্মানির তৈরি। তবে এর মধ্যে আটিলে ক্লাসের ৪টি সাবমেরিন তুরস্ক জার্মানির সাথে যৌথভাবে নির্মাণ করেছে।
তুরস্কের ১৬টি ফ্রিগেটের ৮টি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। বাকী ৮টি জার্মানির সাথে যৌথভাবে নির্মিত। ১০টি করভেটের ৪টি তুরস্কের নিজস্ব তৈরি এবং বাকী ৬টি ফ্রান্সের তৈরি।
তুরস্কের ১৯টি ফাস্ট অ্যাটাক রণতরীর ৬টি তাদের নিজস্ব তৈরি। বাকী ১৩টি তুরস্ক জার্মানির সাথে যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। তুরস্কের সমস্ত টহল জাহাজ তাদের নিজস্ব তৈরি। তুরস্ক জার্মানি এবং ফ্রান্সের সাথে যৌথভাবে নির্মাণ করে মাইন ওয়ারফেয়ার।
এছাড়া তুরস্ক তাদের এমফিবিয়াস ওয়ারফেয়ার শিপ, সাবমেরিন রেসকিউ শিপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রনতরী নির্মাণে সক্ষম। তুরস্কের কাছে রয়েছে তাদের নিজস্ব তৈরি আনম্যানড সারফেস ভেসেল অ্যালবাট্রস। সম্প্রতি তারা উলাক নামক আরেকটি আনম্যানড সারফেস ভেসেল থেকে সফল মিসাইল টেস্ট সম্পন্ন করেছে।
তুরস্কের রয়েছে নিজস্ব উদ্ভাবিত বোরা এবং ইলদিমির নামক স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল। বোরার সর্বোচ্চ আওতা ১১শ কিলোমিটার। ইলদিমিরের আওতা আড়াই হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করার চেষ্টা করছে তুরস্ক। বোরা এবং ইলদিমিরের নির্মাতা তুরস্কের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রকেটসান। হিসারসহ বিভিন্ন ধরনের নিজস্ব উদ্ভাবিত অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল রয়েছে তুরস্কের।
সম্প্রতি তুরস্ক সফল পরীক্ষা চালিয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-শিপ মিসাইল। এর নাম আতমাজা। এটি তুরস্কের প্রথম নিজস্ব উদ্ভাবিত অ্যান্টি-শিপ মিসাইল।
আতমাজা মিসাইল এর আওতা কমপক্ষে ২০০ কিলোমিটার। এটি একটি সারফেস টু সারফেস মিসাইল। আধুনিক এ গাইডেড মিসাইল যে কোনো আবহাওয়ায় ব্যবহারযোগ্য। এতে রয়েছে প্রতিপক্ষের বাধা ভেদ করার সিস্টেম। এমনকি নিক্ষেপ করার পর এর লক্ষ্য পরিবর্তন এবং বাতিল করা যায়। প্রতিপক্ষের ইলেকট্রনিক জ্যামিং সিস্টেমও এর হামলা প্রতিহত করতে পারে না।
অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের আগে বহুমুখী আরেকটি মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। এর নাম সানগার। ভুমি, আকাশ এবং নৌযান থেকে নিক্ষেপযোগ্য এ মিসাইল। এটিও তুরস্কের নিজস্ব উদ্ভাবিত মিসাইল। বেশ কয়েকবার সফল পরীক্ষার পর তুর্কি আর্মিতে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এটি।
সানগার সেলপ প্রপেল্ড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন বিমান এবং হেলিকপ্টার ধ্বংস করতে সক্ষম।
তুরস্কের কাছে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হারপুন মিসাইল। এটি অ্যান্টি-শিপ এবং সারফেস টু সারফেস মিসাইল। এ ছাড়া রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রিম সিরিজের বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স মিসাইল।
তুরস্কের কাছে থাকা রাশিয়ার মাঝারি পাল্লার টোর এম১ মিসাইল সিস্টেম বিমান, হেলিকপ্টার, ক্রুজ মিসাইল এবং স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল হুমকি প্রতিরোধ করতে পারে।
তুরস্ক বর্তমানে নির্মাণ করছে হেলিকপ্টার ইঞ্জিন। ইতোমধ্যে কয়েকটি ধাপে এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। তার্কিশ নেভল ইনস্টিটিউট বর্তমানে নির্মাণ করছে টিএফ-২০০০ ক্লাস ডেস্ট্রয়ার। এ ছাড়া তুরস্ক নির্মাণ করছে ইস্তাম্বুল ক্লাস ও বারবারোস ক্লাস ফ্রিগেট। তুরস্কের রয়েছে আলটে নামক নিজস্ব তৈরি মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক। তুরস্কের সমস্ত আরমারড ভিহিক্যাল তাদের নিজস্ব তৈরি।
মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, সেলফ প্রপেল্ড হাউইজার, টাউড হাউইজার, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ভিহিক্যাল, ইউটিলিটি ভিহিক্যাল, কার্গো ভিহিক্যাল, আন ম্যানড গ্রাউন্ড ভিহিক্যাল থেকে শুরু করে মর্টার, মেশিন গান তৈরি করে তুরস্ক। তুরস্কের রয়েছে নিজস্ব উদ্ভাবিত ৫ ধরনের রাডার সিস্টেম এবং এক ডজন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম।
তার্কিশ এরোস্পেস ইন্ডাস্টিজ্র উদ্ভাবন করেছে হিরকুস নামক প্রশিক্ষণ এবং গ্রাউন্ড অ্যাটাক বিমান। এখন পর্যন্ত ১৮টি এ বিমান নির্মাণ করেছে তুরস্ক। তুরস্ক এয়ার ফোর্স ৫৪টি এ বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছে ।
তুরস্ক বর্তমানে আরমারড এমফিবিয়াস, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ভিহিক্যাল, মিডিয়াম এবং মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক তৈরি করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাহিদা রয়েছে তুরস্কের তৈরি আরমারড ভিহিক্যাল এবং মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক।
তুরস্কে রয়েছে বিশ্বমানের কয়েকটি সরকারি সমরাস্ত্র প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো প্রেসিডেন্সি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আসেলসান, রকেটসান, তার্কিশ এরো স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ।
তার্কিশ এরো স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ বর্তমানে বৃটেনের বিএই সিস্টেমের সাথে যৌথভাবে উদ্ভাবন করছে ফিফথ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার টিএফ-এক্স। যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ এর বিকল্প হিসেবে মাল্টিরোল এয়ার সুপেরিয়রিটি এ ফাইটার জেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে তুরস্ক। ২০২৬ সাল নাগাদ এটি আকাশে ওড়ানোর পরিকল্পনা তুরস্কের।
তুরস্ক বর্তমানে বিশ্বে অন্যতম একটি সমরাস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ । তুরস্ক আর্মির নিজস্ব প্রয়োজন পুরন ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমরাস্ত্র রপ্তানি করে তুরস্ক। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তুরস্কে রয়েছে অনেকগুলো বিশ্বমানের সমরাস্ত্র তৈরি প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালে তুরস্ক ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে। ২০২৩ সালের মধ্যেই একে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে তুরস্ক।
মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্য এবং ন্যাটো সদস্য দেশেও চাহিদা রয়েছে তুরস্কের বিভিন্ন অস্ত্রের। জার্মানি, ইতালী কাজাখস্তান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আজরাবাইজানসহ কয়েকটি দেশের সাথে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন ব্যবস্থা রয়েছে তুরস্কের।