যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়ের কাছে রয়েছে ৭০ বছরের পুরনো দুটি দূরপাল্লার বোমারু বিমান। উভয় বিমান ১৯৫২ সালে আকাশে ওড়ে এবং ১০০ বছর পর্যন্ত আকাশে ওড়ানোর পরিকল্পনা তাদের। বিমান দুটি হলো- যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ এবং রাশিয়ার টিইউ-৯৫। বি-৫২ যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত। আর টিইউ-৯৫ রাশিয়ার সামরিক শক্তির গৌরব আর প্রতীক হিসেবে পরিচিত। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে একে অপরকে মোকাবিলায় বিমান দুটি উদ্ভাবন করে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া। দুটি বিমান এখনও সমানভাবে একে অপরের জন্য বড় মাত্রার হুমকি হিসেবে বিরাজ করছে ৭০ বছর পরও।
রাশিয়ার টুপোলেভ-৯৫ একটি কৌশলগত বা দূরপাল্লার পারমাণবিক বমার। টুপোলেভ টিইউ-৯৫ হলো বিশ্বের একমাত্র প্রোপেলার পাওয়ারড কৌশলগত বমার যা এখনও চালু রয়েছে। এর প্রপেলার ব্লেডের ঘোরার গতি শব্দের গতির চেয়েও বেশি। বিমনাটি চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট। বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা ‘জার বম্বা’ রাশিয়া পরীক্ষা চালিয়েছে টুপোলেভ-৯৫ থেকে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ আকাশের দানব নামে পরিচিত। এর ইঞ্জিন সংখ্যা আটটি। এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র আট ইঞ্জিনচালিত বোমারু বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের মেরুদণ্ড বলা হয় বি-৫২ বমারকে।
বিশ্বযুদ্ধের পর যুুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াসহ বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে পারমাণবিক বোমা হামলা পরিচালনা এবং রাশিয়ার পারমাণবিক বোমা হামলা প্রতিরোধে সক্ষম একটি কৌশলগত বোমারু বিমান নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। নির্মাণ করে বিস্ময়কর বি-৫২ কৌশলগত বোমারু বিমান। এ বিমান যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে গিয়ে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে বোমা নিক্ষেপ করে কোনো বিরতি ছাড়া আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো সোভিয়েত রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র পারমাণবিক বোমা হামলা চালাতে সক্ষম একটি কৌশলগত পারমাণবিক বোমারু বিমান উদ্ভাবনের উদ্যোগ নেয় ১৯৫০ সালে। আর যে বছর যুক্তরাষ্ট্র বি-৫২ আকাশে ওড়ায় ঠিক একই বছর সোভিয়েত ইউনিয়নও আকাশে ওড়ায় তাদের টিইউ-৯৫। যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ আকাশে ওড়ে ১৯৫২ সালের ১৫ এপ্রিল আর রাশিয়ার টিইউ-৯৫ আকাশে ওড়ে ওই বছর ১২ নভেম্বর।
ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বমারের মিশনের পাল্টা মিশন পরিচালনায় রাশিয়া ব্যবহার করে তাদের টিইউ-৯৫। বি-৫২ বমারের মতো রাশিয়ার টিইউ-৯৫ ও পুনঃজ্বালানি সংগ্রহের মাধ্যমে অনির্দিষ্টকাল আকাশে অবস্থান করতে পারে। কোনো বিরতি ছাড়া বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে অপারেশন পরিচালনা করে আবার রাশিয়ায় ফিরে আসতে পারে টিইউ-৯৫। যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বমারের টানা আকাশে ওড়ার রেকর্ড ৪৫ ঘণ্টা আর টিইউ-৯৫-এর টানা আকাশে ওড়ার রেকর্ড ৪৩ ঘন্টা।
১৯৫২ সালে প্রথম আকাশে ওড়ার পর ১৯৫৬ সালে সোভিয়েত এয়ারফোর্সে যুক্ত হয় টুপোলেভ টিইউ-৯৫। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা বর্তমান রাশিয়া ৫ শতাধিক এ বোমারু বিমান নির্মাণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঠান্ডা যুদ্ধে পুরো সময়জুড়ে রাশিয়ার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ বিমান। বিশেষ করে সমুদ্রে টহল, যুদ্ধজাহাজ ও অ্যান্টি সাবমেরিন মিশনে অংশ নেয় টিইউ-৯৫ বমার। ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর রাশিয়া পরীক্ষা চালায় হাইড্রোজেন বোমার। এর নাম ‘জার বম্বা’। বিশ্বে আজ পর্যন্ত এত শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা কেউ চালায়নি। বিশ্বের এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী এ জার বম্বা নিক্ষেপ করা হয় টুপোলেভ টিইউ-৯৫ বিমান থেকে। নোভায়া জেমলিয়ার আর্কটিক আইল্যান্ডে নিক্ষেপ করা হয় জার বম্বা। রাশিয়া এ বোমা নিক্ষেপ এবং তা বিস্ফোরণের ভিডিও ধারণ করে প্রমাণ হিসেবে। এর ভিডিও ফুটেজ এখনও রয়েছে।
টিইউ-৯৫ একটি বহুমুখী বোমরু বিমান। জার বম্বা ছাড়া এ বিমান ৪২ কিলোটন শক্তি উৎপাদনকারী আরটিএস-৪ তাতায়ানা, আরডিএস ৬এস থার্মোনিউক্লিয়ার বম্ব, আরডিএস-৩৭ মেগাটন থার্মোনিউক্লিয়ার বম্ব নিক্ষেপে ব্যবহার করা হয়।
রাশিয়া অনেকগুলো টিইউ-৯৫ মোডিফাইড করেছে বর্তমানে। যার নাম টিইউ-৯৫ এমএস। সংস্কার করা এ বিমান ১৬টি ক্রুজ মিসাইল বহন করতে পারে। প্রতিটি মিসাইল ২০০ কিলোটন শক্তির একটি করে পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে। ২০০ কিলোটনের একটি বোমা নাগাসাকিতে ফেলা এটম বোমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
পুনঃজ্বালানি ছাড়া এ বিমান ৯ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। ২০১০ সালে দুটি টিইউ-৯৫ টানা ৪৩ ঘণ্টা আকাশে ওড়ার রেকর্ড স্থাপন করে। এ ধরনের বোমারু বিমানের ক্ষেত্রে এটা বিশ্বরেকর্ড। আটলান্টিক, আর্কটিক, প্যাসিফিক এবং জাপান সাগরের ওপর দিয়ে ৩০ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করে এ সময়।
প্রায় ৭০ বছর পরও টিইউ-৯৫ আকাশে রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার অপরিহার্য অংশ। একইসাথে সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়ার অতীত সামরিক শক্তি আর গৌরবের প্রতীক এ ভারি বমার। আজও বিশ্ব গণমাধ্যমের হেডলাইন তৈরি করতে সক্ষম এ বিমান। প্রায় ৭০ বছর পরেও আজও এ বিমানের সম্মুখসারিতে অবস্থান অনেকের কাছে যেন অবিশ্বাস্য।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের মাধ্যমে ঠান্ডাযুদ্ধের অবসানের পর ১৯৯১ সাল থেকে টিইউ বমারের মিশন পরিচালনা বন্ধ হয়ে যায়। ১৫ বছর পর ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ঘোষণা দেন আবার এ বিমান মিশন পরিচালনা শুরু করবে। ঘোষণা অনুযায়ী দীর্ঘপাল্লার টহল শুরু করে টিইউ-৯৫ বমার।
২০০৮ সালের অক্টোবরের মহড়ায় টিইউ-৯৫ লাইভ ক্রুজ মিসাইল ছোড়ে। ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মতো লাইভ এ ক্রুজ মিসাইল ছোড়া হয় এ বিমান থেকে।
২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর সিরিয়া যুদ্ধে বোমাবর্ষণে অংশ নেয় টিইউ-৯৫। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর সিরিয়ার বিভিন্ন অবস্থানে ক্রুজ মিসাইল আক্রমণ পরিচালনা করা হয় এ বিমান থেকে।
টিইউ-৯৫-এর দৈর্ঘ্য ১৫১ ফিট ৭ ইঞ্চি। উচ্চতা ৩৯ ফিট। ইউং স্প্যান বা দুই ডানার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের মাঝের দূরত্ব ১৬৪ ফিট। শুধু বিমানটির ওজন ৯০ টন। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫৩০ মাইল।
১৯৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমান একটানা আকাশে উড়ে গোটা বিশ্ব পরিভ্রমণ করে। এতে মোট সময় লাগে ৪৫ ঘন্টা ১৯ মিনিট। মোট পথ অতিক্রম করে ২৪ হাজার ৩২৫ মাইল। ১৬ জানুয়ারি দুপুর একটায় ক্যালিফোর্নিয়া ক্যাসল বিমানঘাঁটি থেকে আকাশে ওড়ে এ বিমান। বিশ্ব পরিভ্রমন শেষে ১৮ জানুয়ারি সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে প্রথম বিমানটি অবতরণ করে ক্যালিফোর্নিয়ার মার্চ এয়ারফোর্স ঘাঁটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের এ মিশনের উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াসহ গোটা পৃথিবীকে এই বার্তা প্রদান করা যে, পৃথিবীর যে কোনো স্থানে হাইড্রোজেন বোমা হামলার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। তাই এই মিশনের নাম ‘অপারেশন পাওয়ার ফ্লাইট।’ যে বিমানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বিশ্বভ্রমণ মিশন পরিচালনা করে তার নাম বি-৫২ বমার। বিমানটির নকশা তৈরি ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং।
আজ থেকে ৭০ বছর আগে ১৯৫২ সালের ১৫ এপ্রিল এ দৈত্য বিমান প্রথম আকাশে ওড়ে। ১৯৫৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী ব্যবহার করে আসছে এ বিমান। ১৯৫৬ সালের ২১ মে বি-৫২ বমার থেকে সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয় মার্শাল আইল্যান্ডের একটি কোরাল প্রাচীরে যার নাম বিকিনি এটোল।
রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোল্ড ওয়ার, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধে মূল ভূমিকা পালন করে এ বমার। চীন, রাশিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শত্রু রাষ্ট্রের কাছে এখনও ভীতিকর এই বোমারু বিমান। ঠান্ডা লড়াই চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬১ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত পরিচালনা করে অপারেশন ক্রোম ডোম। সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক বোমা হামলা ঠেকাতে তখন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাটেজিক এয়ার কমান্ড দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টা বি-৫২ বিমান আকাশে ভাসিয়ে রাখে পারমাণবিক বোমা সজ্জিত করে। এ অপারেশনে তখন এক ডজন বি-৫২ বিমান ব্যবহার করা হয়।
বোয়িং এখন পর্যন্ত ৭৪৪টি বি-৫২ বম্বার তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বর্তমানে ৭৬টি বি-৫২ বমার সক্রিয় রয়েছে। একটি বি-৫২ বিমান ৩২ হাজার কেজি ওজনের সমরাস্ত্র বহন করতে পারে এবং পুনঃজ্বালানি সংগ্রহ ছাড়া টানা ৮ হাজার ৮০০ মাইল পর্যন্ত উড়তে পারে। শুধু বিমানটির ওজন ৮৩ টন ২৫০ কেজি। এটি ১৫৯ ফিট লম্বা এবং ৪০ ফিট উঁচু। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল।
পারমাণবিক ও প্রচলিত বোমা, স্মার্ট উইপনস, মাইনস ও মিসাইল বহন করতে পারে এ বিমান। একটি বি-৫২ বমার পারমাণবিক বোমা বহনকারী ২০টি মিসাইল বহন করতে পারে। বি-৫২ বিমানের ‘এ’ থেকে ‘এইচ পর্যন্ত’ আটটি মডেল রয়েছে।
১৯৬২ সালে সর্বশেষ বি-৫২ এইচ মডেলের বিমান নির্মাণ করে বোয়িং। এরপর আর কোনো বি-৫২ বিমান নির্মাণ করা হয়নি। সে হিসেবে সবচেয়ে কম বয়সী বিমাটির বয়স এখন ৫৭ বছর। যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর পরিকল্পনা ২০৫০ সাল পর্যন্ত এই বিমান ব্যবহার করা। অর্থাৎ, টানা ১০০ বছর পর্যন্ত সার্ভিসে থেকে আকাশে উড়বে এই বিমান।
একটানা উড়ে বিশ্ব পরিভ্রমণের পর একের পর এক রেকর্ড করতে থাকে বি-৫২ বমার। ১৯৫৮ সালে একটি বি-৫২ বমার ঘণ্টায় ৫৯৭ মাইল গতিতে ওড়ার বিশ্বরেকর্ড করে। ১৯৬০ সালে পুনঃজ্বালানি সংগ্রহ ছাড়া টানা ১৯ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আকাশে উড়ে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করে। এ-সময় একটানা ১০ হাজার ৭৮ মাইল অতিক্রম করে।
১৯৫৫ সালে বিমান বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার পরই মার্কিন স্ট্রাটেজিক এয়ার কমান্ড সিদ্ধান্ত নেয় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল এবং আধুনিক সেনাবাহিনীকে মোকাবিলায় ব্যবহার করা হবে এই বিমান। পুরো ঠান্ডা লড়াই চলাকালে বি-৫২ বোমারুসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কৌশলগত বোমারু বিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক হামলার হুমকি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন সীমান্ত বরাবর আকাশের সদাটহলরত থাকত বি-৫২ বোমারু বিমানসহ অন্যান্য বমার। সোভিয়েত ইউনিয়নের যে কোনো পারমাণবিক হামলার উদ্যোগের ক্ষেত্রে এই বিমান যাতে আগেই হামলা পরিচালনা করতে পারে, সে লক্ষ্যে সদা প্রস্তত থাকত বি-৫২ বমার।
আকাশে বি-৫২ বিমানের টহলের কারণে এ বিমান যেমন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করেছে, তেমনি যে কোনো মাত্রায় দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করেছে। হেড স্টার্ট, ক্রোম ডোম, হার্ড হেড, রাউন্ড রবিন এবং জায়ান্ট ল্যান্স প্রভৃতি কোড নামে বি-৫২ বোমারু বিমান আকাশে টহল দিত তখন।
১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য শক্তিশালী মিসাইল উদ্ভাবনের কারণে ঝুঁকিতে পড়ে আকাশের অতিউঁচুতে অবস্থানরত বি-৫২ বিমান। ফলে পরবর্তী সময়ে কয়েকবার বি-৫২ বিমান আধুনিকায়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সব আবহাওয়ায় এবং অত্যন্ত নিচ দিয়েও এই বিমানের ওড়ার সক্ষমতা যোগ করা হয়।