মার্চ মাসে সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে সফল মধ্যস্থতা করেছে চীন। এই ঘটনা বিশ্বের ক্ষমতার ভারসাম্য পাল্টে দিয়েছে। তবে, শুধু মধ্যপ্রাচ্যের এই কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে চুপ থাকছে না চীন। বরং সারা বিশ্বেই তারা অর্থনৈতিক অগ্রগতি করছে। এর মাধ্যমে তারা বিশ্বে মার্কিন ডলারের আধিপত্য কমাতে চাচ্ছে। এখনও বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় একটা অংশের লেনদেন হচ্ছে ডলারে। তাই রাতারাতি ডলারের বিকল্প চালু সহজ নয়। তবে ব্রিকসসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামের মাধ্যমে বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্যের সুযোগ বাড়ছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ডলারকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তাদের এই আচরণও অনেককে ডলারের বিকল্প খুঁজতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
আরব বিশ্বে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের অতীত ইতিহাস রয়েছে। সাদ্দাম হোসেন তার ক্ষমতার শেষ দিনগুলোতে ইউরোতে তেল বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। এদিকে, ২০০০ এর দশকে প্যান-আফ্রিকা স্বর্ণের স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণের চেষ্টা করেছিল লিবিয়া। তবে, মার্কিন ডলারকে দুর্বল করার সেই ধরনের বড় কোন প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। এর একটি কারণ হলো ২০০৭-০৮ সালের অর্থনৈতিক সঙ্কট। এই সময় বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের চেষ্টা অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ে।
তবে, চীনের দ্রুত উত্থান এই পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। চীনের কর্মকর্তারা তাদের ইচ্ছা গোপন রাখেননি যে, তারা ডলারের শক্তি দুর্বল করতে চান। বিকল্প হিসেবে তারা চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ব্যবহার বাড়াচ্ছেন। এর মাধ্যমে আমেরিকার অর্থনৈতিক শক্তি খর্ব হবে। সেই সাথে কমে আসবে তাদের সামরিক আধিপত্যও, যে শক্তিবলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে এসেছে।
চীন অর্থনৈতিক দিক থেকে ডলার থেকে দূরে সরে যেতে চাচ্ছে, যাতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তাদের উপর না পড়ে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এড়ানোর জন্য রাশিয়াও এখন ডলারের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে।
ওয়াশিংটনের কর্তৃত্ব কমে যাওয়ায় রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযান জারি রেখেছে। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযানের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবস্থাও পাল্টে যেতে শুরু করেছে। মস্কোর উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে আঞ্চলিক দেশগুলো নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী পক্ষ বেছে নিতে শুরু করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে বোঝা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র যে কোন সময় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। তবে, তেলসমৃদ্ধ কিছু উপসাগরীয় দেশসহ আরও কিছু দেশ ওয়াশিংটনকে অগ্রাহ্য করছে। শুধু তাই নয়, তারা রাশিয়া ও চীনের সাথে সম্পর্ক বজায় ও সেটা আরও সম্প্রসারণ করছে। চীন যেহেতু এখানে অর্থনৈতিক শক্তিঘর হিসেবে কাজ করছে, সে কারণে এই অঞ্চলে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক প্রভাবও বেড়ে গেছে।
শেষ বিচারে অর্থনৈতিক শক্তিই রাজনৈতিক শক্তি সৃষ্টি করে। শীতল যুদ্ধ পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্র যে আধিপত্য অর্জন করেছিল, তার কারণ ছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের প্রভাব। ডলারের আধিপত্য কমা মানেই মার্কিন প্রভাব কমে যাওয়া।
মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ ডলারের বিকল্প মুদ্রাকে স্বাগত জানিয়েছে। এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের উত্থানের প্রেক্ষিতে এই পরিণতিটা ছিল স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, চীন এখন মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক ও ইরানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো।
আরব আমিরাত গত এক দশক ধরে ধীরে ধীরে মার্কিন নির্ভরতা থেকে সরে এসেছে। তারা এমনভাবে নিজেদের শক্তি গড়ে তুলেছে, যাতে সব দেশের সাথেই তারা কাজ করতে পারে। মার্চ মাসে তারা সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাস চুক্তি করেছে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ভিত্তিতে। চুক্তিটি হয়েছে টোটাল এনার্জিস আর চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশানের মধ্যে। এখানে তাৎপর্যের দিক হলো, টোটাল একটি ফরাসি ও পশ্চিমা কোম্পানি হয়েও চুক্তিতে অংশ নিয়েছে। সেখানে সাহায্য করেছে আবু ধাবি। এভাবেই ইউয়ানের জন্য সুযোগের দরজা আরও খুলে গেছে।
আঞ্চলিক ব্লক - গালফ কোঅপারেশান কাউন্সিল বা জিসিসি'র মধ্যেও নীতির পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। জানা গেছে, সৌদি আরবও ইউয়ানে তেল বিক্রির জন্য চীনা কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন সৌদি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল। এই সময়টাতে তেলের দাম নির্ধারিত হয়েছে ডলারের হিসেবে। আর এভাবেই ডলার হয়ে উঠেছে 'পেট্রোডলার'। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ওপেকের উপরও কর্তৃত্ব করেছে। এর অর্থ হলো, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থের কেন্দ্রে ছিল সৌদি আরব।
তবে, সৌদি আরব যদি চীনের কাছে ইউয়ানের বিনিময়ে তেল বিক্রি করেও, তারপরও ঠিক এখনই ডলারের আধিপত্য চলে যাবে না। কারণ, উপসাগরীয় দেশগুলো সম্মিলিতভাবে পেট্রোডলারকে যে ভাবে গ্রহণ করেছে, সেটা এখনই বন্ধ হবে না।
তারপরও চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়ছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিময় কমে আসছে। আর এ কারণেই ইউয়ানের জন্য দরজাটা এখনও খোলা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ইরাক ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা চীনের সাথে ইউয়ানে বাণিজ্য করবে। বাগদাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের ঘাটতির কারণে তারা এই ঘোষণা দেয়। এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য চীন আগে থেকেই পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছিল। ইরাকের তেল অবকাঠামোতে তাদের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের এই দিকটাতে নজর দেয়নি।
তবে, শুধু ইউয়ানই যে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে ঢুকছে তা নয়। জানুয়ারিতে ভারত আর আরব আমিরাতের মধ্যেও এ ধরনের আলোচনা হয়েছে। আলোচনার বিষয় ছিল, আবু ধাবি যাতে দিল্লির কাছে তেল ছাড়া অন্যান্য পণ্য ভারতীয় রুপির বিনিময়ে বিক্রি করতে পারে। জিসিসি আরব আমিরাতের মাধ্যমে অর্থনীতির ক্ষেত্রে এ ধরনের নীতি গ্রহণের চেষ্টা করছে।
নতুন মুদ্রার ধারণাটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ডলারকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদেরকে সহায়তা করছে আইএমএফ। বহু সমালোচক মনে করেন, আইএমএফ আসলে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিরই একটা অংশ।
রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে দেখা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের রিজার্ভের শক্তিকে অন্যকে শাস্তি দেয়ার কাজে ব্যবহার করছে। রাশিয়ার মতো ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পিষ্ট হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাণিজ্য যুদ্ধে সুবিধা পেতে যুক্তরাষ্ট্র ডলারের মান কমানোরও হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে, সারা বিশ্বে ডলারের বিচরণ থাকায় ওয়াশিংটন সেটাকে নিজেদের অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য ব্যবহার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের যতদিন একক বৈশ্বিক কর্তৃত্ব ছিল, ততদিন তাদের এই ডলার অস্ত্র কাজ করেছে। কিন্তু যে সব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের চাপের শিকার হয়েছে, তারা এখন বিকল্প ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য ইউয়ানকে অন্যতম মুদ্রা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ইরান এরই মধ্যে ইউয়ানের বিনিময়ে চীনের কাছে তেল বিক্রি করেছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি থাকায় ইরান এখন চীনের সাথে বাণিজ্যের সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রেই ডলার ও ইউরোকে পরিত্যাগ করার চিন্তাভাবনা করছে।
আঞ্চলিক আরও কিছু দেশ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে বের হতে চাচ্ছে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, আর দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের মধ্যে ব্রিকস গড়ে তুলেছে। তিউনিসিয়ার সরকারপন্থী একটি গ্রুপ জানিয়েছে, তারা আশা করছে, আলজেরিয়া, মিশর ও সৌদি আরবের সাথে মিলে তিউনিসও এই ব্রিকসে যোগ দেবে।
তিউনিসের মধ্যে পশ্চিমা ও আইএমএফ বিরোধী যে মানসিকতা রয়েছে, তা থেকে বোঝা যায়, তিউনিসিয়ার মতো দেশগুলো চীনসহ অন্যান্য উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর দিকে ঝুঁকতে চাচ্ছে।
কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, ব্রিকস নিজেই মার্কিন আধিপত্য কমানো ও ডলার থেকে বেরিয়ে আসার একটা বিকল্প হিসেবে উদয় হয়েছে। সংস্থার মধ্যে এই লক্ষ্য অর্জনের সুস্পষ্ট আগ্রহও রয়েছে। ১৩ এপ্রিল ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা ব্রিকস সদস্যদের মধ্যে বাণিজ্যের জন্য ডলারের বিকল্প মুদ্রা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন। সাংহাইতে চীনা ও ব্রাজিলের প্রতিনিধিদের বিপুল করতালির মধ্যে তিনি বলেন, প্রতি রাতেই আমি ভাবি, কেন সব দেশকে ডলারের ভিত্তিতে ব্যবসা করতে হবে।
যদিও এই মুহূর্তে ডি সিলভার বক্তব্যকে প্রতীকি অর্থেই নিতে হবে। তবে, এই ধরনের আকাঙ্ক্ষা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য আগামীতে সুযোগের দুয়ার খুলে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে ব্রিকসে যোগ দিলে বিভিন্ন বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্যের জন্য তাদের সামনে সুযোগ তৈরি হবে।
ডলারের প্রতি চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও এই মুদ্রাকে এখনই পুরোপুরি বাতিল করা ঠিক হবে না। অধিকাংশ আর্থিক লেনদেন, আন্তর্জাতিক ঋণ, বাণিজ্যের নিকাশ নিকাশ এই মুহূর্তে ডলারেই হচ্ছে। ২০২১ সালের হিসেবে বিশ্বের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রায় ৬০ শতাংশই ছিল ডলারে। এর সাথে তেলের বিষয়টি যুক্ত করলে দেখা যায়, বিশ্বের ৮০ শতাংশ লেনদেনই হয়েছে ডলারে।
সারা বিশ্বে, এবং সুনির্দিষ্টভাবে মধ্যপ্রাচ্যে ডলারের বিকল্প চালু করতে চীনকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বাস্তবতা হলো, এজন্য বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোঝাতে হবে, যাতে তারা অন্তত ৭০০ বিলিয়ন ডলারের ইউয়ান রিজার্ভ গড়ে তোলে।
তাছাড়া, ইউয়ানকে এখনও 'হার্ড কারেন্সি' গণ্য করা হয় না। এর অর্থ হলো, ইউয়ান এখনও ডলারের মতো স্থিতিশীল নয়। চীনকে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক নীতি গ্রহণ করতে হবে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সামনে প্রমাণ করতে হবে যে, তাদের মুদ্রা স্থিতিশীলতার দিক থেকে ডলারের কাছাকাছি।
তবে বৈশ্বিক রিজার্ভের সাথে বড় বড় কিছু দেশের যোগসূত্র রয়েছে। পর্তুগাল আর স্পেন এক সময় রিজার্ভ মুদ্রার মালিক ছিল। ১৭ ও ১৮ শতাব্দিতে নেদারল্যাণ্ডস আর ফ্রান্সের মুদ্রা রাজত্ব করেছে। ১৯ ও বিশ শতাব্দিতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য পাউন্ডকে রিজার্ভ মুদ্রা করে তুলেছিল। সবশেষে বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে এই জায়গা দখল করে যুক্তরাষ্ট্র।
এটা স্পষ্ট যে, ভবিষ্যৎ সবসময়ই অনেকটা অনিশ্চিত এবং পরিস্থিতি যে কোন সময় বদলাতে পারে। তবে, এটা সত্য যে, ডলারের মতো ইউয়ানসহ অনেক বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্যের সুযোগ এখন তৈরি হচ্ছে।
মার্কিন আধিপত্যের অবনতিকে সুযোগ হিসেবে দেখছে চীন। গত কয়েক দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তাদেরকে বারতি শক্তি যোগাচ্ছে। বিভিন্ন আর্থিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০৫০ সাল নাগাদ সহজেই মার্কিন অর্থনীতিকে ছাপিয়ে যাবে চীন। চীন বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি হলে বৈশ্বিক রিজার্ভের উপর তাদের বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ আসবে।
কাকতালীয়ভাবে ২০৪৯ সালে চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ঠিক তার পরের বছরেই যাতে চীন বৈশ্বিক ক্ষমতায় শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে যেতে পারে, সে জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চীন।