মেন্টাল হেলথ ও হার্ট

-

  • ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৭


যাদের হার্ট বাইপাস সার্জারি অপারেশন হয়েছে, তাদের প্রতি পাঁচজনে কমপক্ষে একজন ডিপ্রেশন বা মনমরা রোগে ভোগেন। এর ফলে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। কিন্তু এক ধরনের থেরাপি আছে, যার নাম সিবিটি তথা ‘কগনিটিভ রিহেভিয়াবেল থেরাপি’, এ থেকে এ ধরনের ডিপ্রেশনের রোগী উপকৃত হতে পারেন। আর্কাইভ অব জেনারেল সাইকিয়াট্রি নামের এক জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাইপাস সার্জারির ৭১ শতাংশ রোগীই এই সিবিটি নামের থেরাপি নিয়ে তিন মাস চিকিৎসার পর ডিপ্রেশনমুক্ত হয়েছে।


মাঝবয়সীদের সঞ্জীবনী
ব্যায়ামের মাধ্যমে স্বাস্থ্যোন্নয়নে বয়স কখনোই ফুরিয়ে যায় না। ‘এখন আর আমার ব্যায়ামের বয়স নেই’ এ কথা কখনোই মুখে আনবেন না। সব বয়সের মানুষ ব্যায়াম থেকে স্বাস্থ্যগত উপকার পেতে পারেন। একটি সুইডিশ গবেষণা সমীক্ষা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ইগঔ জার্নালে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৫০ বছর বয়সে ব্যায়াম শুরু করেও দেখা গেছে মৃত্যুঝুঁকি ৩২ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। তা ছাড়া কর্মঠ লোকদের কম বয়সে মারা যাওয়ার ঝুঁকি কম। এ ছাড়া দীর্ঘজীবন লাভের বিষয়টি ধূমপান ছেড়ে দেয়ার সাথেও সম্পর্কিত। বয়সী মানুষ সপ্তাহে অন্তত তিন ঘণ্টা খেলাধুলা কিংবা বাগানে কাজ করেও সেই স্বাস্থ্যগত উপকারটুকু পাওয়া সম্ভব।


অ্যালার্জি শুটের বদলে একটি বড়ি
বড়ি খেয়ে কিংবা ¯েপ্র করে অ্যালার্জির লক্ষণগুলো দূর করা যায়। তবে শুধু ইমিউনো থেরাপি যে অ্যালার্জি শুট ব্যবহার করে স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায় এবং তা অ্যালার্জি থেকে হাঁপানি সৃষ্টি হওয়া রোধ করতে পারে। তবে খুব কম লোকই এ থেকে উপকার পাওয়ার সুযোগ পেতে পারে। তাদের জন্য আছে একটি সুখবর। সাম্প্রতিক এক জার্মান সমীক্ষায় জানা যায়, প্রতিদিন জিহ্বার নিচে একটি মৎধংং য়ড়ষষবহ ষধনষবঃ বা কাচের পাত্রে সঞ্চিত পরাগ রেখে দিলে ২৪ শতাংশ শিশুর যধু-ভবাবৎ (ধুলা বা ফুলের রেণু থেকে সৃষ্ট নাক ও গলার রোগ)। এবং হাঁপানির উপসর্গ ৬৪ শতাংশ কমে যায়। জিহ্বার নিচে বড়ি বা ড্রপ ইউরোপে কয়েক দশক ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। নতুন এই গবেষণার সূত্রেই নিকট ভবিষ্যতে আমরা বাজারে পেতে যাচ্ছি ‘মারলিঙ্গুয়াল ইমিউনো থেরাপি’।


অ্যালার্জি এড়াতে হলে
যদি অ্যালার্জি এড়াতে চান, তবে মদপান ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন। ডেনমার্কে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পাঁচ হাজার ৮৭০ জন মহিলার দেহে অসময়ে অ্যালার্জি দেখা দেয়ার ঝুঁকি ৩ শতাংশ বেড়ে যায় প্রতি সপ্তাহে একবার মদপান বাড়িয়ে দেয়ার কারণে। সমীক্ষায় দেখা যায়, যে মহিলা ১৪টি অ্যালকোহলিক বেভারেজ পান করেন, তার অ্যালার্জি ৭৮ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে এটি স্পষ্ট নয় পুুরুষদের বেলায় একই ধরনের এই প্রভাব কাজ করে কি না।


মিনিটে ৫৫-৬৫ হৃদস্পন্দন
খেলোয়াড়রা এ নিয়ে গর্ব করে থাকেন। নিচু মাত্রার হৃদস্পন্দন যেসব খেলোয়াড়ের তাদের ধরা হয় সুস্থ অবস্থায় আছে বলে। সাধারণত ধরে নেয়া হয় নিচুমাত্রার হৃদস্পন্দনের অর্থ হচ্ছে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কম। হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে প্রয়োজন হয় বেশি অক্সিজেনের। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এ অভিমত লন্ডনের রয়েল ব্রম্পটন হাসপাতালের ডাক্তার কিম ফক্স। আর আপনার জন্য পরামর্শ হচ্ছে : হার্টবিট কমানোর সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে ব্যায়াম।


শরীরে বিরামহীন বেদনা?
সাইনাস পরীক্ষা করুন
শরীরে অথবা মাথায় আপনার বিরামহীন ব্যথা-বেদনা থাকতে পারে। বিশেষ করে এ ব্যথা থাকতে পারে আপনার সাইনাসে বা সপুম নালীতে কিংবা কোনো ঘায়ে। এমনকি আপনার সাইনাসের ইনফেকশনের কারণে আপনার সন্ধিবাত কিংবা দীর্ঘমেয়াদি মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হতে পারে। এ অভিমত জর্জ টাউন ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের অধ্যাপক আলেক্সান্ডার চেস্টারের। তার অনুমান দীর্ঘমেয়াদি সাইনাইটিস রোগীদের অর্ধেকেরই রয়েছে বিরামহীন বেদনা ও মানসিক অবসাদ। সাইনাইটিসের ফলে সারা শরীরেই এ ধরনের বেদনা দেখা দিতে পারে। তবে কাঁধে, ঘাড়ে ও নিতম্বে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি।

ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
ভিটামিন সি : গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, ভিটামিন সি ঠাণ্ডা ঠেকাতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। কিন্তু ঠাণ্ডায় ভোগান্তির সময় কমিয়ে আনতে ভিটামিন সি ভূমিকা রাখে। এটি কাজ করে একটি অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি। এটি নাকে তরল অর্থাৎ পানি ঝরা বন্ধ করে নাককে শুষ্ক করে তোলে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
জিঙ্ক : যদি ঠাণ্ডায় রোগীরা আক্রান্ত হওয়ার পরপর প্রথম দুই দিন কেউ জিঙ্ক লজেন্স দুই ঘণ্টা পরপর চুষে খান তবে ঠাণ্ডা কম সময় চলবে। বেশ কয়েকটি সমীক্ষা থেকে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।
ভিটামিন-ই : ভিটামিন-ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ভিটামিন-ই খেলে ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। বছরব্যাপী পরিচালিত এক মার্কিনি সমীক্ষায় তা জানা গেছে।
অ্যানড্রোগ্রাফিস : এটি একটি ভারতীয় ওষুধি গাছ। ভেষজ চিকিৎসাবিদদের মধ্যে তা ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, ঠানা রোগ চিকিৎসায় তা খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কারণ তা শরীরে অ্যান্ডিবডির জন্ম দেয়।
রসুন : একটি ব্রিটিশ সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা শীতের সময়ের দুই সপ্তাহ বেশি করে রসুন খায় তার অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। আর যদি অসুস্থ হয়েই যায়, তবে দ্রুত সেরে ওঠে।
জামবুরা : ফ্লু সারানোর জন্য জামবুরা খুবই উপকারি। ফ্লুর লক্ষণ দেখা যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামবুরা খেলে ফ্লু রোগ তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
নানা মসলা : কাঁচা মরিচ, গুঁড়া মরিচ, ঝাল স্বাদযুক্ত কন্দ ও ওয়াসাবি আপনার বন্ধ নাক খুলে দিতে সহায়তা করবে।