মার্কিন প্রেসিডেন্টদের কুকুরপ্রেম


  • মুরশিদুল আলম চৌধুরী
  • ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৪১

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও কুকুরের মধ্যে প্রেমের খবর নতুন আর কী! কুকুর ছাড়া যেন তাদের চলেই না! কর্তব্যকাজে কিংবা বিনোদনে- সবসময় কুকুর তাদের সঙ্গে থাকেই। প্রেসিডেন্ট-পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো হোয়াইট হাউসের ‘ওয়েস্ট উইং’-এ জীবন-যাপন এসব কুকুরের। বিলাসী জীবন। শিক্ষা, চিকিৎসা, খাবার-দাবার- সবই ব্যয়বহুল। তাদের জন্য প্রশিক্ষক, চিকিৎসক, আয়া-খানসামা- সবই থাকে। একেক জনের নামও আলীশান!

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ প্রেসিডেন্টের মধ্যে ৩০ জনেরই সঙ্গ দিয়েছে কুকুর। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল সেই রেওয়াজ। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কুকুর রাখা হোয়াইট হাউসের প্রথায় পরিণত হয়েছিল। এ ধারা ভেঙেছিলেন ট্রাম্প। জো বাইডেন শপথ নেওয়ার পর ফিরেছে সেই ধারা। তার দুই জার্মান শেফার্ডের আবাসস্থল এখন হোয়াইট হাউস।

শুধু কুকুর নয়, অন্য প্রাণীও থাকে প্রেসিডেন্টদের পোষ্যদের তালিকায়। তবে কুকুরই সবচেয়ে প্রিয়। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভ্রমণ করে এসব কুকুর। চড়ে প্রেসিডেন্টের গাড়ি ‘ক্যাডিলাক ওয়ান’-এ, কিংবা ব্যক্তিগত বিমান ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’-এ।

১৭৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন যখন শপথ নেন তখন বাড়িটাকে ‘হোয়াইট হাউস’ বলা হতো না, বলা হতো ‘প্রেসিডেন্টস্ প্যালেস’। সেখানে জর্জ ওয়াশিংটনের সঙ্গী ছিল কয়েকটি কুকুর। তিনি জীবনে অর্ধশতাধিক কুকুর পুষেছেন। প্রেসিডেন্টস্ প্যালেসে তার সঙ্গে থাকা কুকুরগুলির মধ্যে ছিল- ‘সুইটলিপ্স’, ‘সেন্টওয়েল’, ‘ড্রাংকার্ড’, ‘টেস্টার’ ও ‘টিপলার’।

ট্রাম্পের আগে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটানা কুকুরের বসবাস ছিল হোয়াইট হাউসে। উইলিয়াম ম্যাক্কিনলে থেকে বারাক ওবামা পর্যন্ত কোনো প্রেসিডেন্টই এ ধারা ভাঙেননি। বারাক ওবামার ছায়াসঙ্গী ছিল দুটি কুকুর- ‘বো’ ও ‘সানি’।

জর্জ ডাব্লিউ বুশের কুকুরের নাম ছিল ‘বার্নি’। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে বার্নিকে নিয়ে আলাদা একটি পাতা ছিল। হোয়াইট হাউসের লনে বার্নির দৌড়ে বেড়ানোর ছবি মার্কিন মিডিয়ায় প্রায়ই প্রকাশিত হতো। তার আরও কুকুর ছিল- নাম ‘স্পট ফ্লেচার’ ও ‘মিস ব্রিজলি’।

ক্লিনটনের কুকুরের নাম ছিল ‘বাড্ডি’। ‘ল্যাব্রাডর রিট্রিভার’ জাতের কুকুর ছিল এটি। চকলেট রঙের। একে খুব আদর করত ক্লিনটন পরিবার।

বুশের বাবা জর্জ এইচ বুশের কুকুরের নাম ছিল ‘মিলি’ ও ‘রেঞ্জার’। রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ছিল অনেক কুকুর। এদের মধ্যে ছিল ‘লাকি’, ‘রেক্স’, ‘ভিক্টোরি’, ‘পেগি’, ‘টাসা’ ও ‘ফুজি’। জির্মি কার্টার তার প্রিয় কুকুরের নাম রেখেছিলেন ‘গিফ্টস’। আফগানিস্তানের ঠান্ডা পাহাড়ে বসবাস করা বাদামি রঙের সুকেশি এক কুকুর ছিল তার, নাম ‘লেভিস ব্রাউন’।

জেরাল্ড ফোর্ড, রিচার্ড নিক্সন, লিন্ডন বি জনসন, জন এফ কেনেডি- কেউ কুকুর ছাড়া হোয়াইট হাউসে অবস্থান করেননি।

বাইডেনের যে দুটি জার্মান শেফার্ড আছে, এদের একটির নাম ‘চ্যাম্প’, অপরটির ‘মেজর’। বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় থেকেই তার সঙ্গে থাকা চ্যাম্পের বয়স এখন ১২। অপরদিকে মেজর কম বয়সী, ২০১৮ থেকে বাইডেনের কাছে আছে।

মেজরের হোয়াইট হাউসে আশ্রয় পাওয়াটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বলছে। কারণ, পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই পাওয়া কোনো কুকুরের হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হওয়ার প্রথম ঘটনা এটি।

ডেলাওয়ার হিউম্যান সোসাইটি থেকে ২০১৮ সালে মেজরকে তুলে এনেছিলেন বাইডেন। এই দুই প্রাণী বাইডেনের মতোই অনুগত। ট্রাম্পের নিষ্প্রাণ চার বছরের পর শুধু যে বাইডেনের আগমনে হোয়াইট হাউসে প্রাণের সঞ্চার হচ্ছে তা নয়, হোয়াইট হাউসের কর্মীরা মনে করেন, প্রেসিডেন্টের অফিসকে প্রাণবন্ত করার পেছনে বড় ভূমিকা থাকছে চ্যাম্প ও মেজরের।

ক্ষমতা ছাড়ার পর ট্রাম্পের মেয়াদের যে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে কুকুরের বিষয়ও। কুকুরবিহীন ট্রাম্পের সমালোচনায় মেতে ওঠেন অ্যানিমেল-লাভাররাও। বলছেন, এ কেমন প্রেসিডেন্ট! প্রাণীর প্রতি যার ভালোবাসা নেই, সে মানুষকে ভালোবাসবে কী করে! এই চার বছরে ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে উষ্ণ আলিঙ্গন করতে দেখা যায়নি। পারিবারিকভাবে হাসি-আনন্দের মাঝে প্রেমময় কোনো মুহূর্ত ভাগাভাগি করতেও কেউ দেখেননি। এখানে কোনোদিন কনসার্ট বা কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করেননি ট্রাম্প। কিংবা কোনোদিন কোনো শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনেরও আয়োজন হয়নি। এই তো ট্রাম্প। নিষ্প্রাণ এক মানুষ। এমন কর্কশ মনের মানুষের ঘরে কুকুর থাকবে কী করে!

পশুপ্রেমীরা বলেছেন, তুলনা করলে দেখা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার দুই মেয়ে সাশা ও মালিয়াকে নিয়ে দুই পর্তুগিজ পোষা কুকুর ‘বো’ ও ‘সানি’র সঙ্গে হোয়াইট হাউজের লনে বরফ নিয়ে খেলা করতেন। ২০০৮ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ওবামা তার মেয়েকে পোষা কুকুর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি অবশেষে সে প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন। বলা যায়, ওবামার পুরো পরিবারই কুকুরপ্রেমী ছিল।

রাগী ‘সানি’ নিয়ে অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায়ও পড়তে হয়েছিল ওবামা পরিবারকে। একবার প্রেসিডেন্টের পরিবারের অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ১৮ বছরের এক মেয়ে। হাতের কাছেই কালো লোমে ভরা বছরচারেকের পর্তুগিজ ওয়াটার ডগকে দেখে আদর করার লোভ সামলাতে পারেনি মেয়েটি। আর তারপরেই কামড়। চোখ অল্পের জন্য বেঁচে যায়, কামড়টা পড়ে চোখের ঠিক নিচে। লজ্জায় পড়ে প্রেসিডেন্ট পরিবার নিজেদের ডাক্তারকেই নিয়ে আসেন। মেয়েটির চোখের নীচে সেলাই করতে হয়। ক্ষতের দাগও থেকে যায়।

‘সানি’ নাকি তার মেজাজের জন্য হোয়াইট হাউসে যথেষ্ট কুখ্যাত ছিল। এর আগে মিশেল ওবামার দেওয়া পার্টিতে এক ছোট্ট মেয়ের ঘাড়ে চড়ে বসেছিল সে। তবে তার মাথা দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়, মেয়েটির মুখ চেটে দিয়ে ভাবও করার চেষ্টা করে। ‘সানি’র চার বছরের বড় দাদা ‘বো’ অবশ্য যথেষ্ট সভ্য। অন্তত তার বিরুদ্ধে কাউকে কামড়ানোর অভিযোগ নেই।

বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কোনো পোষা প্রাণী নেই- বিষয়টা নির্বাচনের আগে আলোচনায় উঠে আসে। হৈ চৈ করেন অ্যানিমেল-লাভাররা। প্রশ্ন ওঠে তার শিল্পমন নিয়ে। শেষ পর্যন্ত তাকে জানাতে হয়েছিল, তিনি কুকুর পছন্দ করেন।

কুকুরের সঙ্গে খেলাধুলা করা জো বাইডেনের প্রাত্যহিক কাজের অংশ। শপথের আগে কুকুরের সঙ্গে এক ঘটনায় সংবাদের শিরোনামও হয়েছিলেন তিনি। কুকুরের সঙ্গে খেলতে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। আশঙ্কা ছিল, অভিষেকের সময়ও হয়তো প্রেসিডেন্টকে পায়ে বিশেষ বুট পরে থাকতে হবে। বাইডেনের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন তার প্রিয় ‘মেজর’কে খেলতে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কুকুরের সঙ্গে খেলার সময় বাইডেন পা পিছলে পড়ে গিয়ে তার পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পান। এমআরআই করার পর জানা যায়, তার পায়ের গোড়ালির দুটি ছোট হাড় সরে গেছে। তাই তাকে বেশ কিছুদিন স্পেশাল জুতো পরতে হবে।

শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্টরা নন, পশুপ্রেম রয়েছে অনেক রাষ্ট্র ও সরকার-প্রধানের। ‘ল্যারি’ নামে একটি বিড়ালের মালিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও তার পার্টনার ক্যারি সাইমন্ডস। সম্প্রতি ল্যারির সঙ্গে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যোগ দিয়েছে ‘ডিলিন’ নামের এক কুকুর।

তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট বার্ডিমুখামেদভ ২০১৭ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘ভার্নি’ নামের এক বাচ্চা কুকুর উপহার দেন। কুকুরের প্রতি পুতিনের ভালোবাসার কথা সবাই জানেন। তবে মেরু ভল্লুক থেকে শুরু করে সাইবেরিয়ান বাঘের সঙ্গেও তাকে দেখা গেছে।

২০০৭ সালে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকের সময় পোষা কুকুর ‘কনি’কে ছেড়ে রেখেছিলেন পুতিন। ম্যার্কেলকে তিনি বলেছিলেন, ‘কনি আপনাকে বিরক্ত করছে না, করছে কি? ও ফ্রেন্ডলি কুকুর। আমি নিশ্চিত সে ভালো ব্যবহার করবে।’ পুতিন হয়ত জানেন না, ১৯৯৫ সালে ম্যার্কেলকে একটি কুকুর কামড় দিয়েছিল। সেই থেকে কুকুর ভয় পান জার্মান চ্যান্সেলর।

জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর শ্রোয়েডারের কুকুরের নাম ছিল ‘হোলি’। হোলিকে ‘ফার্স্ট ডগ’ নামে ডাকা হতো। ২০১৭ সালে ক্যানসারে হোলির মৃত্যু হয়। শ্রোয়েডারের পরিবার সেই খবর ফেইসবুকে জানিয়েছিল। এ খবর এসেছিল সংবাদমাধ্যমেও।

জুলভার্নের ‘টোয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি’ বইয়ের ভক্ত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রো। সেই বইয়ের একটি চরিত্র ‘ক্যাপ্টেন নিমো’। তাই তিনি প্রিয় কুকুরের নাম রেখেছেন এই নামে।

কুকুর, বিড়াল, ঘোড়া, এমনকি রেকুনও পোষা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউসে। তাদের কারও কারও ছবি শোভা পেয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে, কারও ভিডিও দেখেছেন লাখ লাখ মানুষ।

মার্কিন প্রেসিডেন্টদের পশুপ্রেম নিয়ে কিছু গল্পও চাওর হয়েছে। বিল ক্লিন্টনের একটা বিড়ালের নাম ছিল ‘সক্স’। ‘সক্স’ নাকি ওভাল অফিসে কাজ করার সময়ও ক্লিন্টনের কাঁধে বসে থাকত। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক একবার একটা ডাকটিকিট ছেপেছিল ক্লিন্টনকে নিয়ে। সেই ডাকটিকিটে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার প্রিয় বিড়ালটিও ছিল!

১৯৪৪ সালে খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখনকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট নাকি আলেউটিয়ান দ্বীপ থেকে ফেরার সময় ভুল করে প্রিয় কুকুর ‘ফালা’কে ফেলে চলে আসেন। পরে নৌবাহিনীর বিশেষ জাহাজ পাঠিয়ে কুকুর আনিয়ে জনগণের টাকা অপচয় করেছিলেন তিনি। ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের রুজভেল্ট বলেছিলেন, ‘আমার কুকুরটিকে অন্তত রেহাই দিন!’

জন এফ কেনেডির আমলে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ঘোড়া ‘মার্কোনি’। খুব ফটোজেনিক ছিল ‘মার্কোনি’। কেনেডির মেয়ে ক্যারোলিন আর মার্কোনির ছবি ছাপা হতো বিভিন্ন পত্রিকায়। লাইফ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদও হয়েছিল ক্যারোলিন আর মার্কোনির ছবি নিয়ে। সেই ছবি দেখেই নাকি ‘সুইট ক্যারোলিন’ গানটি গেয়েছিলেন নিল ডায়মন্ড।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজকে এক সমর্থক একটা রেকুন উপহার দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা দিয়ে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-র আহার সেরে নিতে পারেন। দারুণ হবে!’ পশুপ্রেমী প্রেসিডেন্ট তা করেননি। রেকুনটি তিনি হোয়াইট হাউসে পুষেছিলেন। তার নাম দিয়েছিলেন ‘রেবেকা’।

আমেরিকায় কারও হৃদয় মাপার জন্য সম্ভবত পশুপ্রেমকে একক ধরা হয়। বিড়াল, ঘোড়ার পাশাপাশি তাদের ঘরে আলাদা জায়গা দখল করে থাকে কুকুর। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬৭ শতাংশ আমেরিকান কুকুর পোষেন। হৃদয়বান প্রেসিডেন্ট মানেই হোয়াইট হাউসে কুকুর থাকতে হবে। ‘পাষাণ’ ট্রাম্পই ছিলেন ব্যতিক্রম। বিশে^র কোথায় নিরীহ মানুষের ঘরে মার্কিন পরমাণু বোমা এসে পড়ল, তা প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হলো, হৃদয়বান জো বাইডেনের সঙ্গে কুকুর থাকবে তো? উত্তর- থাকবে।