আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। ব্যাপক অর্থে এমনটা বলা হলেও প্রাণঘাতি ভাইরাসের আক্রমণের বইরে রয়ে গেছে এখনো অনেক দেশ। আর এসব দেশের অধিকাংশ গরিব অথবা যুদ্ধবিধ্বস্ত। নয়তো বিশ্ব থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন। প্রশ্ন হচ্ছে আসলে এসব দেশের প্রকৃত অবস্থা কী? নাকি তথ্য লুকাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন দেশের উদাহরণ হিসেবে টেনে আনা যায় উত্তর কোরিয়ার নাম। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যাদের যোগাযোগ নেই বললেই চলে। এমন আরো একটি দেশ মিয়ানমার।
মাসচারেক আগেও চীন ছিল বিশ্বের এক অর্থনৈতিক পরাশক্তি। কী তার রমরমা! এদেশ-ওদেশকে সহজে বিপুল অঙ্কের ঋণ দিয়ে বেড়াচ্ছে, নানা দেশে নিচ্ছে বিশাল-সব প্রকল্প। তার ওপর বিশ্বের এক বিশাল অংশকে একসূত্রে গাঁথার জন্য তারা নিল রোড অ্যান্ড বেল্ট নামের এক সুপার মেগা প্রকল্প, যা আগে কেউ কখনো দেখেনি, ভাবেওনি।
দুনিয়ার অধিকাংশ দেশ এখন স্বেচ্ছা অবরুদ্ধ। চোখে না দেখা এক ভাইরাস কাপিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। পরস্পরের বিশ্বাস ও আস্থায় চিড় ধরেছে। প্রত্যেক দেশ নিজেই নিজ দেশের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভাইরাস এতোটাই দুনিয়াকে বদলে দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
যাকে বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাসকে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় সাধারণ সর্দি রোগ উৎপাদক ভাইরাসদের সঙ্গে। সাধারণ সর্দি রোগ উৎপন্ন হয় প্রায় ষাট রকম বা ষাট প্রকার সর্দি রোগের ভাইরাসের জন্য। যাকে বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাস, যার প্রভাবে উদ্ভব হচ্ছে করোনিয়া নিউমোনিয়া, তা আগে ছিলনা। রোগটার উদ্ভব হয়েছে হঠাৎ করেই। মনে করা হচ্ছে এই রোগজীবাণুটির সৃষ্টি করেছে চীন। জীবাণু যুদ্ধের প্রয়োজনে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন। তাকে মনে করা হয় বিশ্বের প্রবল ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়াকে আবার বিশ্বের প্রভাবশালী দেশে পরিনত করেছেন পুতিন। নিজ দেশে লৌহমানব হিসেবে পরিচিত হলেও অনেকে মনে করেন তিনি একজন নিকৃষ্ট স্বৈরাচার। পুতিন আবারো ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার আয়োজন করছেন। যার লক্ষ্য ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা।