গাজায় বর্বর হামলার কারণে সারা বিশ্বে ইসরায়েলের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে। এখন ইমেজ পুনরুদ্ধারের জন্য দক্ষিণ গাজায় দ্বিতীয় দফা হামলার পক্ষে আন্তর্জাতিক বন্ধু ও মিত্রদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা জোরদার করছে তেল আবিব। এর অংশ হিসেবে, ভারতের উপরও চাপ দিচ্ছ ইসরায়েল, যাতে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে। ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতানিয়াহুর ব্যপারে সতর্ক হওয়া উচিত নয়াদিল্লির...
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কত বড় জয় হয়েছে, তা সাদা চোখে নির্ণয় করা হয়তো সহজ নয়। ঘটনাবলির সামান্য ভেতরে গেলেই স্পষ্ট হবে, এই যুদ্ধ কিংবা এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে হামাসের অর্জনটা আসলেই আকাশ হাতে পাওয়ার মতো...
বেশ দম্ভ নিয়ে কথা বলছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলের আত্মসমর্পণ হবে; হামাস আবার ইসরায়েলে ঢুকে হামলার সাহস পাবে- এমন মন্তব্য করছিলেন ইসরায়েলি মন্ত্রীরা। হামাসকে ধ্বংস করে বন্দিদের মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তারা...
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি অভিযান তাকে এমন খাদে ফেলেছে, সেখান থেকে উঠে আসার কোনো উপায় দেখছেন না তিনি। ৭ অক্টোবর এক অবিশ^াস্য অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েলে ঢুকে টার্গেট কিলিং চালিয়ে সফলতার সঙ্গে ফিরেও এসেছেন হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলের তরফে মাঝেমধ্যে দাবি করা হয়, তারা অভিযানে যাওয়া সব যোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। এই তথ্যের ভিত্তি নেই বললেই চলে...
শুধু অত্যাধুনিক অস্ত্র থাকলেই যুদ্ধ জয় করা যায় না। মোড়লদের বাছ-বিচারহীন মদতেও যুদ্ধ জয় করা সম্ভব নয়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির অত্যাধুনিক অস্ত্রের অভাব নেই; যুক্তরাষ্ট্রও তাদের নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স্থল-অভিযানকে সামনে রেখে ইসরায়েল দৃশ্যত বড় একটি পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে...