তিউনিসিয়া ও মিশরে ক্ষমতাসীনদের পতনের পরপরই সেখানে জন্ম হয়েছে তিনটি অক্ষের। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছে সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমীরাত। এ অক্ষটি পুরোপুরি বিপ্লববিরোধী বা প্রতিবিপ্লবী। দ্বিতীয় অক্ষটি ইসলামী-সংস্কারপন্থী। এদের সমর্থন বিপ্লবের প্রতি এবং ইসলামী ব্রাদারহুড ও সমমনা সংগঠনগুলোর প্রতি। এ অক্ষের নেতৃত্বে আছে তুরস্ক ও কাতার। তৃতীয় অক্ষটি প্রতিরোধপন্থী। আমেরিকা ও ইসরাইলকে প্রতিরোধ করাই এদের ধ্যানজ্ঞান। এ অক্ষে আছে ইরান, সিরিয়া ও হেজবুল্লাহ
ফ্রান্সের সাবেক ঔপনেবিশিক দেশগুলোতে নতুন করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে ফ্রান্স। এ অঞ্চলের জ্বালানী সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্টা করতে চায় ফ্রান্স। আবার এসব দেশ এক সময় উসমানীয় শাসনের অধীনে ছিলো। স্বাভাবিকভাবে এসব দেশে আছে তুরস্কের প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্খা। যা ফ্রান্স ও তুরস্ককে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অব্যাহতভাবে বাড়ছে চীনের বিনিয়োগ। স্বাভাবিকভাবে চীনকে আমেরিকার কথায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারছে না এসব দেশ। এমন পরিস্থিতিতে কি করা উচিত - এ প্রশ্নে উপসাগরীয় এলাকার এক বিশ্লেষক বলেন, এটা এমন এক অবস্থা, যেখানে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন খুবই সতর্কতার। কিন্তু মুশকিল হলো, বৃহৎ শক্তিগুলোর নেতারা মধ্যপন্থা অবলম্বনে একেবারেই অনিচ্ছুক। ইসরাইলকে যেমন সরাসরি বলে দিতে হয়েছে চীনের ফাইভ জি প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তারা দেবেন না
দ্রুজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এতোদিন পর্যন্ত অনেকাংশে সিরিয়ায় নয় বছরের গৃহযুদ্ধের প্রভাবমুক্ত ছিল। তবে দেশটি চরম অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হওয়ায় তারা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হয়েছে। তারা সরাসরি আসাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। বলছেন, ‘তোর ওপর অভিশাপ, আমরা তোর পতন ঘটাতে আসছি।’
খবর রটে যে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ চার দেশ কাতার আক্রমণ ও দখল করে নেবে। খবরটি একেবারে ভুলও ছিল না। কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার এক সপ্তাহের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত আমীরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতেইবা 'ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে' এক নিবন্ধে দাবি জানান, কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিটি আমীরাতে সরিয়ে নেয়া হোক। তার এ দাবিও কাতারবাসীর মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দেয়