বর্তমান বিশ্বে দুটি সামরিক সংঘাত অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী থেকে সবার নজর ও মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। না হলে এসব ঘটনা নিয়েই বেশি আলোচনা ও বিতর্ক হতো। এক যুগ পরে সিরিয়ার আরব লীগে ফিরে আসা ও দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে আরব নেতাদের উষ্ণভাবে গ্রহণ করা বর্তমান সময়ের ভূরাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ ও সুদানের গৃহযুদ্ধ এ বিষয়টিকে আড়ালে ঠেলে দিয়েছে...
নির্বাচনের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে নিয়ে সুর একেবারে বদলে ফেলেছে পশ্চিমা মিডিয়া। তারা এখন নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এরদোয়ানের এই সাফল্যের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করছে না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ান যে এভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন, তা কল্পনাতেও ছিল না পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়ার...
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৫ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নানা ইস্যুতে এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সাথে সৌদি আরবের বিরোধ বাড়তে থাকে। কিন্তু দেশটি এখন সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনে নতুন অধ্যায়ের, নতুন যুগের সূচনা করতে চায়। সৌদি সরকারের ‘ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় নেওয়া পররাষ্ট্রনীতির আলোকে আঞ্চলিক সব দেশের সাথে বিরোধ মিটিয়ে ফেলার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে রিয়াদ...
বিগত কয়েক বছর ধরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইসলাম, মুসলিম ও অভিবাসন বিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারণ করেছে। তারা এই মহাদেশের বাইরের লোকজনকে ভিন্ন চোখে দেখে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদী ও কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থানের পর থেকে ইউরোপে ইসলাম, মুসলিম ও অভিবাসন বিরোধী মনোভাব হয়ে উঠেছে আরো তীব্র। ইউরোপের সমাজের কিছু অংশের মানুষের কাছে এই মনোভাব গ্রহনযোগ্যতাও পাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে তারা নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে। এজন্যই তারা অন্য সমাজের ও সম্প্রদায়ের জনগণকে তৃতীয় শ্রেনীর মানুষ হিসেবে দেখে। ‘সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে’ ভোগাই এর মূল কারণ। এ ধরনের মনোভাব থেকে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে ঘৃনামুলক প্রচারনা চালাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদপত্র। বিশ্লেষকরা এটাকে ইউরোপের নৈতিক দেউলিয়াত্ব ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বহিপ্রকাশ বলে মনে করছেন। ইউরোপের এই শ্রেষ্টত্ববাদের ধারনার বিপজ্জনক দিক নিয়ে থাকছে মোতালেব জামালীর প্রতিবেদন।
কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেও এখন এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্ম্পকে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বহু মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো পালন করতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা। এই প্রথম পরস্পর বিরোধী দেশগুলো কাছাকাছি আসছে। এমনকি দশকের পর দশক ধরে ইরানের সাথে আরব দেশগুলোর যে বিরোধ তা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইরানের সাথে বিশ্বশক্তির পারমানবিক চুক্তির বিরুদ্ধে ইসরাইল অবস্থান নিলেও আরব দেশগুলো অনেকটা নিরব। অপরদিকে ঘনিষ্ট হচ্ছে তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর ও কাতারের সাথে সর্ম্পক। সিরিয়ার সাথে আরব আমিরাত, কাতার ও তুরস্ক সর্ম্পক স্থাপনের ইঙ্গিত দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোর পরিবর্তিত সর্ম্পকের নানা দিক থাকছে মুনতাসীর মুনীরের প্রতিবেদনে।