এখন জুন মাস। আজ থেকে তিন বছর আগে, ঠিক এ মাসের ৫ তারিখে সউদি আরবের নেতৃত্বে পারস্য উপসাগরীয় এলাকার দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল প্রতিবেশী ছোট দেশ কাতারের সাথে। শুধু সম্পর্কই ছিন্ন করেনি তারা, কাতারের ওপর স্থল, আকাশ ও নৌ-অবরোধও আরোপ করেছিল এ চার দেশ। তাদের অভিযোগ, কাতার সন্ত্রাসবাদীদের মদদ দিয়ে থাকে।
আজ তিন বছর পর ভেবে দেখার সময় এসেছে, এ বিরোধে শেষ পর্যন্ত কার জয় আর কার পরাজয় হয়েছে? বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে জয় হয়েছে মার্কিন লবিস্ট এবং অস্ত্রশিল্প খাতের আর পরাজয় ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
কীভাবে, জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই দিনগুলোতে।
সেদিন প্রতিবেশী চার দেশের এমন পদক্ষেপ হতভম্ব করে দেয় কাতারীদের। দেশটিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যার সাথে তুলনা চলে কেবল পরবর্তী কালের কোভিড-১৯ আতঙ্কের। ওই সময় কাতারের মানুষ উন্মাদের মতো জিনিসপত্র কিনতে থাকলে চোখের পলকে সব সুপার মার্কেটের তাক খালি হয়ে যায়।
কাতারবাসীর এ প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ, এ সময় খবর রটে যে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ চার দেশ কাতার আক্রমণ ও দখল করে নেবে। খবরটি একেবারে ভুলও ছিল না। কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার এক সপ্তাহের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত আমীরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতেইবা 'ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে' এক নিবন্ধে দাবি জানান, কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিটি আমীরাতে সরিয়ে নেয়া হোক। তার এ দাবিও কাতারবাসীর মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দেয়। তারা মনে করতে থাকে, কাতার দখলের পথ পরিষ্কার করতেই এ আহ্বান। তবে চার দেশের কাতার দখলের উদ্যোগ রুখে দাঁড়ান তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তাঁর তীব্র বিরোধিতায় পিছু হটে সউদি আরব ও তার তিন মিত্র।
সেদিন কাতার দখলে মার্কিন বিরোধিতার পেছনে ছিল অনেক কারণ। যেমন, কাতারে ছিল মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, যাতে ছিল ১০ হাজার মার্কিন সৈন্য। তাদের রেখেই কাতার দখল করলে এবং তাদের নাকের ডগায় তিন দেশের সৈন্যরা দাবড়ে বেড়ালে মার্কিনীদের সম্মান থাকে?
প্রশ্ন হলো, ওই চার দেশ কি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাতারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ও অবরোধ আরোপ করেছিল? বিভিন্ন সূত্রের গবেষণা বলছে, না। এর মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল সাত মাস আগে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
ওই সময় ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ায় কেবল মার্কিনীরাই শকড হয়নি, অনেক দেশও হতচকিত হয়েছিল। তবে তারা দ্রূত নিজেদের সামলে নিয়ে আসন্ন প্রশাসন এবং রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের সাথে সুসম্পর্ক গড়ার কাজে নেমে পড়ে।
সউদি আরব ও আমীরাতও ব্যতিক্রম ছিল না। জানা যায়, কেবল ফরেইন এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট বা এফএআরএ-য় নিবন্ধিত বিভিন্ন লবিইং ফার্মের পেছনেই ২০১৬ সালে এ দু' দেশ ব্যয় করেছিল ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। পরের বছর সেই ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। সেবার সউদিরা ব্যয় করে ২৭ দশমিক তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমীরাত ১৯ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের সাথে সুসম্পর্ক গড়তে সউদি আরব এফএআরএ-য় নিবন্ধিত বিভিন্ন লবিইং ফার্মকে নিয়োজিত তো করেইছিল, ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পরের কয়েক মাসে এর বাইরেও দেশটি এ কাজে আরও কিছু কম্পানিকে কাজে লাগায়। এর একটি হচ্ছে সিজিসিএন গ্রূপ। এর প্রেসিডেন্ট ও চীফ পলিসি অফিসার হচ্ছেন মাইকেল ক্যাটানজারো, যিনি ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাও। এছাড়া রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে কাজ করার জন্য ভাড়া করা হয় ম্যাককিয়ন গ্রূপকে। এটি চালান সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বাক ম্যাককিয়ন।
এগুলো হলো কেবল ফরেইন এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট বা এফএআরএ-য় নিবন্ধিত বিভিন্ন লবিইং ফার্ম। এর বাইরেও নিজেদের পক্ষে লবিইং করার জন্য আরও অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয় সউদি আরব ও আমিরাত। এ রকম ব্যক্তিদের মধ্যে প্রধান হলেন এলিয়ট ব্রয়ডি ও জর্জ নাডের।
এলিয়ট ব্রয়ডি হলেন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানের একজন শীর্ষ তহবিল সংগ্রহকারী আর জর্জ নাডের হচ্ছেন ট্রাম্পের ব্যবসায়িক অংশীদার। সউদি ও আমীরাত - উভয় দেশেই নাডেরের বিপুল ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। ফলে এ দু' ব্যক্তি তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার জন্যই নতুন প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান দলকে কাতারের বিরুদ্ধে কানমন্ত্র দিতে থাকেন।
ব্রয়ডির কথায় প্রভাবিত হয়ে, আমীরাতের অর্থানুকূল্যে ২০১৭ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয় কাতারবিরোধী এক কনফারেন্স, যার আয়োজক ছিল ওয়াশিংটনের প্রভাবশালী থিঙ্কট্যাঙ্ক দ্য ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিজ। এতে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এড রয়েসকে তার পরিকল্পিত এইচআর-২৭১২ বিল নিয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়া হয়। কনফারেন্স শেষ হওয়ার দু'দিনের মধ্যে বিলটি হাউজে উত্থাপিত হওয়ার কথা, যাতে কাতার নামের দেশটির গায়ে ''সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক'' লেবেল এঁটে দেয়ার আহ্বান ছিল।
কিন্তু ভুললে চলবে না যে মধ্যপ্রাচ্যে কাতার হলো আমেরিকার একটি বন্ধু দেশ এবং সে-দেশের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে আমেরিকার ১০ হাজারের বেশি সৈন্য রয়েছে। এমন অবস্থায় এ ধরনের একটি বিল পাস হলে তা কাতার-মার্কিন সম্পর্কের ওপর গুরুতর বিরূপ প্রভাব ফেলবে, তা মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মাথায় ছিল। ফলে লবিইস্টরা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে ছিল ব্যাপক সংশয়। কিন্তু সউদি ও আমীরাত ছিল অদম্য। তারা তাদের ভাড়া করা লবিইং ফার্মগুলোকে দিয়ে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এর অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সউদিদের পাবলিক রিলেশন মাউথপিস হিসেবে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান করভিস কমিউনিকেশন একটি ''দলিল'' প্রকাশ করে, যাতে দাবি করা হয় যে আল-নুসরা, হামাস, মুসলিম ব্রাদারহুড এবং অন্য অনেক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে অর্থ যোগান দিয়ে আসছে কাতার।
বিলটি ঠেকাতে এবার মাঠে নামে কাতারের নিয়োজিত দুই লবিইং ফার্ম। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এর একটি এমন-একটি কার্ড খেলে, যা ওয়াশিংটনের রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ - ইসরাইল কার্ড। তারা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার একটি চিঠির কপি সবাইকে দেন, যাতে বলা হয়েছে, হামাসকে কোনো অর্থসাহায্য দেয়নি কাতার। এ চিঠির বক্তব্য এইচআর-২৭১২ বিলের ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দেয়।
এর তিন মাস পর আরেকটি লবিং ফার্ম হুঁশিয়ার করে দেয়, যদি বিলটি হাউজে পাস হয় এবং কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হয়, তাহলে কাতারের সেনাবাহিনীর কাছে ৬২০ কোটি মার্কিন ডলারের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির যে চুক্তি হয়েছে, তা বাতিল হয়ে যেতে পারে। এতে কয়েক হাজার কর্মী তাদের চাকরি হারাতে পারে।
এখানেই ক্ষান্ত হয়নি কাতার। বিলটির পাস হওয়া ঠেকাতে হাউজের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা কেভিন ম্যাকারথিসহ দুই ডজনেরও বেশি সদস্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন কাতারের এজেন্টরা। কাতারের এ রকম নানামুখী তৎপরতার মুখে বিলটি আর আইনে পরিণত হতে পারেনি, ওটি হাউজেই ধীরে-ধীরে মারা যায়।
ওয়াশিংটনে যখন কাতারবিরোধী প্রপাগ্যান্ডা তুঙ্গে, রিয়াদে তখন সউদি শাসকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিপুল রাজকীয় সংবর্ধনায় অভিষিক্ত করে চলেছেন। সেখান থেকে ফিরে ট্রাম্প টুইট করেন, আমার সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে আমি বলে এসেছি, উগ্রবাদী আদর্শকে কোনো রকম অর্থসহায়তা দেয়া চলবে না।
সউদি আরব ও আমীরাতের প্রভাব বিস্তারের এ খেলা মোকাবিলায় প্রথম দিকে প্রস্তুত না-থাকলেও 'আমেরিকার বন্ধু দেশ' হিসেবে নিজের ইমেজ সমুন্নত করতে পরে দ্রূত তৎপর হয়ে ওঠে কাতার। তারা একের পর এক ভাড়া করতে থাকে এমন-সব লবিইং ও বিজ্ঞাপনী ফার্মকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানদের সাথে যাদের রয়েছে বিশেষ যোগাযোগ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অবরোধ কার্যকর হওয়ার দু'দিনের মাথায় কাতার তাদের পক্ষে লবি করার জন্য নিয়োগ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল জন অ্যাশক্র্যাফটের ল' ফার্মকে। কাতারের পক্ষে ৯০ দিন কাজ করার চুক্তিতে তারা পায় আড়াই মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এছাড়া কাতার আরও কয়েকটি ফার্মকে লবিইং করার কাজে নিয়োগ করে। সেপ্টেম্বরে এসে আরও নতুন কৌশল নেয় কাতার। এ সময় তারা চুক্তি করে ব্লূফ্রন্ট স্ট্র্যাটেজিস নামে এক প্রতিষ্ঠানের সাথে। চুক্তি অনুসারে এরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান টিভি চ্যানেলসমূহ এবং গুরুত্বপূর্ণ পত্রপত্রিকায় কাতারের পক্ষে বিজ্ঞাপন প্রচার করবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় চালাবে 'লিফট দ্য ব্লক' শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন।
উল্লেখ্য, কাতারের ওপর আরোপিত অবরোধের অবৈধতা এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে দেশটির অবদান তুলে ধরে গুগল ও ইউটিউবে ইতিমধ্যে বিজ্ঞাপন সম্প্রচারিত হচ্ছে।
এ-ই যখন অবস্থা, তখন জাতিসংঘের এক অধিবেশন শেষে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কাতারের আমীর তামিম। পরে ট্রাম্প বলেন, দু'দেশ অনেক দিনের পুরনো বন্ধু। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
গত ১০ এপ্রিল আবারও বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও আমীর তামিম। এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারের আমীরকে তার 'বন্ধু' ও 'একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক' বলে অভিহিত করেন। জবাবে কাতারের আমীর অবরোধকালে তার দেশকে সমর্থন দেয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দেন।
সব মিলিয়ে ছোট দেশ কাতারের মোকাবিলায় সউদি জোট বেশ পিছিয়েই পড়েছে বলা যায়। এর সাথে যোগ হয় সউদি সরকারের নিজস্ব একটি অপকর্মও। সেটি হচ্ছে সউদি মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা। খাসোগি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সউদি কনস্যুলেটে ঢুকে উধাও হয়ে যান। ঘটনাটি সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলে। বহু পানি ঘোলা হওয়ার পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ নিশ্চিত করে যে, সউদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি নির্দেশেই সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যা করে সউদি এজেন্টরা।
এ তথ্য প্রকাশের সাথে-সাথেই বেশ-ক'টি লবিইং ফার্ম সউদি সরকারের কাজ ছেড়ে দেয়। এটা সউদি জোটের একটা পরাজয়, সন্দেহ নেই।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন সিনেটে পাস হয় ইয়েমেন যুদ্ধ অবসান বিল। সউদি জোট এটা কিছুতেই চায়নি। তারপরও এটা তাদের মেনে নিতেই হয়, যদিও এ যুদ্ধের সুবাদে সউদি আরব ও আমীরাতের কাছে কয়েক শ' কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আলোচনার শুরুতেই আমরা একটি প্রশ্নের জবাব খুঁজছিলাম - এ বিরোধে কারা জয়ী? অবরোধের তিন বছর পার হলেও কাতারকে কাবু করা যায়নি, তারা ভালোভাবেই টিকে আছে। আমেরিকার সাথে তাদের সম্পর্কও জোরদার হয়েছে।
অন্যদিকে রিয়াদে যিনি কাতারের প্রতিপক্ষ, তিনি কাতার অবরোধ করে সাফল্য কিছু তো পানইনি, উল্টো আমেরিকার ওপর তার প্রভাব খর্ব হয়েছে। সেটা এমনই যে, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সউদিকে এই বলে হুমকি দেন যে, রাশিয়ার সাথে মিলে সউদিরা যে অয়েল ওয়ার বা জ্বালানি যুদ্ধ শুরু করেছে, অবিলম্বে তা বন্ধ না-করলে সউদি আর কোনো সামরিক সহায়তা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সুড় সুড় করে মেনে নেয় সউদি আরব।
সউদি আরবের পরাজয় হলো, কিন্তু জয় হল কার? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সউদি বা আমীরাত নয়, সত্যিকার অর্থে পরাজয় ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। আমেরিকা বিপুল অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে। এতে লাভবান হয়েছে তার অস্ত্রশিল্প খাত। লাভবান হয়েছে লবিইং ফার্মগুলোও। কিন্তু আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের কী লাভ হলো?
উত্তরহীন এ প্রশ্নই আজ ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে।
প্রতিবেদনটির ভিডিও দেখুন
বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে