দীর্ঘদিনের হুমকির পর অবশেষে তুরস্কের ওপর প্রতিরক্ষা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনাকে কেন্দ্র করে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রতীকি নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে আনকারার বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে, এসব নিষেধাজ্ঞায় উদীয়মান শক্তি তুরস্কের অগ্রযাত্রা কী থেমে যাবে?
রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ কেনাকে কেন্দ্র করে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের আগে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠল।
রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার পর থেকে তুরস্কেও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মার্কিন সিনেটরদের একাংশ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ দিয়ে আসছিলেন। তবে ট্রাম্প এতোদিন তাতে সায় দেননি। এখন বিদায়লগ্নে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এফ-থার্টি ফাইভ স্টেলথ ফাইটার তৈরির যৌথ উদ্যোগ এবং প্রশিক্ষণ থেকে তুরস্ককে বাদ দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি এস-৪০০ ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের এস-৪০০ কেনার ঘটনা ন্যাটো জোটের নীতির পরিপন্থি এবং এই জোটের সদস্য দেশগুলোর জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় আগে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এই ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এর বিরোধিতা করে আসছে। তবে এরদোয়ান সরকার প্রথম থেকেই মার্কিন বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে এসেছে।
মার্কিন সরকার তুরস্কের প্রতিরক্ষা সংস্থার চেয়ারম্যান ইসমাইল দামির এবং এই প্রতিষ্টানের আরও তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা তুরস্কের খাত গুলোর জন্য আমেরিকা থেকে কোনও কিছু আমদানি করা যাবে না এবং এসব খাতের সম্পদ জব্দ করা হতে পারে। প্রতিরক্ষা ক্রয় সংস্থাটির লাইসেন্সের ওপর এবং তাদের ঋণ নেওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের লজিস্টিক ও সমরাস্ত্র খাতকে টার্গেট করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আগে গত বছর ট্রাম্প প্রশাসন তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওয়াশিংটন তুরস্কের সর্বোচ্চ পর্যায়ে একাধিকবার স্পষ্ট করে বলেছে যে এস-৪০০ কেনার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রযুক্তি ও সামরিক ব্যক্তিদের বিপদে ফেলেছেন। এর ফলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাত আর্থিকভাবে বিপুলভাবে লাভবান হয়েছে। এতে রাশিয়া তুরস্কের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার পেয়েছে। পম্পেওর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্তে¡ও তুরস্ক এস-৪০০ এর পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিকল্প হিসেবে ছিল।
তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় জবাব দেবে। এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগøু বলেছেন, ওয়াশিংটনের এই একতরফা পদক্ষেপ তাদের উভয়ের বোঝাপড়ার প্রতিফলন নয়। এস-৪০০ ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না বলে আবারও উল্লেখ করেছে আকাংরা। যুক্তরাষ্ট্রকে এই ভুল থেকে যত দ্রæত সম্ভব ফেরার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। আকাংরা বলেছে, তারা সংলাপ ও কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত।
নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর তুরস্কের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য এসেছে তা থেকে স্পষ্ট যে পরিস্থিতি মোকাবিলার যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে আংকারা। এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতার কোনো ইচ্ছা তুরস্কের নেই। এর প্রতিফলন পাওয়া যায় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ ওকতাইয়ের বিবৃতি থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে তুরস্কের ফুয়াদ ওকতাই বলেছেন, এই অবরোধের ফলে তুরস্কের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও প্রতিরক্ষা শিল্পের উন্নয়নে তাদের দৃঢ়তা আরও বাড়বে। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞাই তুরস্ককে তাদের এই অনড় অবস্থান থেকে নড়াতে পারবে না। তিনিও ভুল পথ থেকে সরে আসার জন্য আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কলিন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তুরস্কের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। প্রতিরক্ষা লক্ষ্য অর্জনে তুরস্ক অবিচল থাকবে।
প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান ইসমাইল দেমির এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাইরের কোনো দেশের সিদ্ধান্তে তার বা তার প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের কোনে পরিবর্তন হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্তে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অগ্রগতি ব্যাহত হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট রিজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্বে তুরস্ক প্রতিরক্ষা শিল্পে সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী হতে বদ্ধপরিকর বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েক দিন আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তা হবে তুরস্কের জন্য অসম্মানজনক। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউরোপীয় ইউনিয়নকে তিনি তুর্কি বিরোধী লবির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তবে এরদোয়ান বলেছেন, সংলাপ ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে যে কোনো ইস্যুর সমাধান করা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতায় আসা সম্ভব হয়নি।
তুরস্ক বলেছে, আমেরিকার প্যাট্রিয়ট মিসাইল আকাংরার কাছে বিক্রি করতে অস্বীকার করায় রাশিয়ার এস-৪০০ কেনা ছাড়া তাদের বিকল্প ছিল না। ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী নীতিরও সমালোচনা করেছে তুরস্ক । আকাংরা বলেছে, গ্রিস দীর্ঘদিন থেকে রাশিয়ার তৈরি এস- ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। অথচ তা নিয়ে কোনো কথা বলেনি ওয়াশিংটন।
তাৎপর্যপূর্ণ দিক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ আন্তজার্তিক আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন। যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে এ ধরনের অবৈধ, একতরফা ও বলদর্পী পদক্ষেপ নিচ্ছে ।
যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের কয়েকদিন আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা তুরস্কের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত হয়েছেন। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রতিবেশী দেশ গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে তুরস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা এক সম্মেলনে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত হন। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইইউ সম্মেলনে নেয়া সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং অনৈতিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ধরনের চাপ প্রয়োগে তুরস্ক ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাসের ওপর অধিকার ছেড়ে দেবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
ভূমধ্যসাগরে জ্বালানী অনুসন্ধান নিয়ে ফ্রান্সের মতো ইউরোপের প্রভাবশালী দেশের সঙ্গেও তুরস্কের দ্ব›দ্ব দেখা দিয়েছে। তুরস্কের জ্বালানি খননে নিয়োজিত কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত হয়েছেন ইইউ নেতারা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ ধরনের পদক্ষেপকেও প্রতীকী হিসাবে দেখা হচ্ছে। কারন তুরস্কের ওপর অবরোধ আরোপ নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ আছে। ফ্রান্স ও গ্রিসের মতো দেশ অবরোধ আরোপের পক্ষে থাকলেও জার্মানী, হাঙ্গেীর ও ইউক্রেনের মতো দেশগুলো এর ঘোরতর বিরোধী। কারন এসব দেশের সাথে তুরস্কের রয়েছে নিবিড় অর্থনৈতিক সর্ম্পক। তুরস্কের ওপর অবরোধ এসব দেশের অর্থনীতির ওপর বিরুপ প্রভাব পড়বে।
বিশ্লেষকরা বলছেন , সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্কের যেভাবে উত্থান হয়েছে তাতে অনেক পশ্চিমা ও আরব দেশ উসমানীয় খেলাফতের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। সিরিয়া, পূর্ব ভূমধ্যসাগর, লিবিয়া ও ককেশাসে তুরস্কের আধিপত্য মেনে নিতে পারছে না পশ্চিমা দেশগুলো। একটি উদীয়মান মুসলিম শক্তি যেভাবে পাশ্চাত্যের স্বার্থের বিরুদ্ধে উঠে দাড়াচ্ছে তাতে অনেকেই শঙ্কিত। এজন্য তুরস্ককে প্রতিহত করতে মরিয়া পাশ্চাত্যের কয়েকটি দেশ।
অবরোধ আরোপের মাধ্যমে আসলে তুরস্কের অর্থনীতি ও সামরিক খাতকে টার্গেট করা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের চাপ প্রয়োগ করে দেশটির আঞ্চলিক প্রভাব ও প্রতিরক্ষা কৌশল থেকে কতটা সরে আনা যাবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। তুরস্কের অনন্য ভৌগলিক অবস্থানকে নিপুণ কুশলতায় কাজে লাগাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তার নেতৃত্বে তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্য, ভূমধ্যসাগর, আফ্রিকা, ও ককেশাসের এক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসাবে হাজির হয়েছেন। এসব অঞ্চলে পাশ্চাত্যের অনেক পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দেওয়ার মত সামরিক ও কৌশলগত অবস্থানে পৌছে গেছে তুরস্ক।
তুরস্কের আরও একটি বড় সুবিধা হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত মিত্রতা। ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে একমাত্র তুরস্কের সঙ্গেই রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আর রাশিয়াকেই সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ। রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে তা পাশ্চাত্যের স্বার্থকে বিঘ্নিত করবে।
অবরোধ দিয়ে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা তুরস্ককে আরো বেশি রাশিয়ার দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন। ইতোমধ্যে সিরিয়া ও নাগারনো কারবাখ ইস্যুতে তুরস্ক ও রাশিয়া মধ্যে ভালো বোঝাপড়া হয়েছে। লিবিয়া নিয়েও মস্কো ও আংকারা বোঝাপড়ায় আসতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে তুরস্ক যদি চীনের সাথে অর্থনৈতিক সর্ম্পক জোরদার করে তাহলে মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব ইউরোপকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক ও ভূকৌশলগত সর্ম্পক বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এসব দিক বিবেচনায় রেখে তুরস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো যতটা গর্জন করে, কামড় ততটা শক্তিশালী হয় না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞাতেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। দুটো নিষেধাজ্ঞাই কার্যত প্রতিকী। এর ফলে চাপে থাকা তুরস্কের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বড় ধরনের কোনো ক্ষতির মুখে পড়বে না দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক অনেকদিন থেকেই ভালো যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞার ফলে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে। এতে তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মনোভাব আরও চাঙ্গা হবে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ফলে তুরস্কের অবস্থানের যে কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে করেন না বিশ্লেষকরা। তুরস্কের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তেমন কথা স্পষ্ট করে বলেছেন।
বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে