মূলত ইসলামকে টার্গেট করেই নতুন ওই আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা যায়। যদিও বলা হচ্ছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীসহ সবাইকেই এর আওতায় আনা হবে। ফরাসি মুসলিমরা আশঙ্কা করছেন, নতুন এই আইনের ফলে শুধু শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদ নয়, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম বিদ্বেষও এখন ফ্রান্সজুড়ে বেড়ে যাবে
এলো সেই কাঙ্খিত দিন। ছিয়াশি বছর পর মসজিদ খুলে দেওয়ার দিন। শুক্রবার সকাল থেকেই ইস্তানবুলের বাতাস মুখর হয়ে উঠলো। ইউরোপ আর এশিয়ার বিভক্তিরেখা বসফরাস প্রণালীতে বইতে শুরু করলো নতুন প্রবাহ। গোল্ডেন হর্ন স্মরণ করলো সেই দিনের কথা। যেদিন সুলতান ফাতিহ মুহাম্মদ কনস্টানটিনোপল বিজয় করতে জলের জাহাজ ডাঙায় তুলেছিলেন। দশমাইল শুকনো পথ টেনে নিয়েছিলেন সেগুলো। কাঠের গুড়িতে চর্বি মিশিয়ে তার ওপর তুলেদিয়েছিলেন জাহাজের পেট। উসমানীয় সেনারা সেই জাহাজগুলো পাহাড় ঠেলে টেনে নামিয়েছিলেন গোল্ডেন হর্ন-এ
১৯৩০ সালের পর ইসলামবিরোধী নানা আইন চালু করতে থাকে তুরস্ক। এর অংশ হিসেবে কামাল পাশা আমেরিকা থেকে আর্কিওলজিস্ট থমাস হোয়াইমোরকে নিয়ে আসেন। তিনি সুলতান ফাতিহ মোহাম্মদের চিত্রকর্মগুলো দেয়াল থেকে মিশিয়ে দিতে শুরু করলেন। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকলো বাইজেন্টাইনদের করা চিত্রকর্ম। এই অবস্থাতেও মুসলমানরা নামাজ পড়ছিলেন সেখানে। কিন্তু ১৯৩৩ সালের পর নামাজ পড়া একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন দেয়ালের ছবিগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো। আর ছবি সামনে নিয়ে নামাজ পড়া হারাম। এভাবেই মুসলমানদের সরিয়ে দেওয়া হয় আয়া সুফিয়া থেকে
পর্তুগালের দক্ষিণাঞ্চলে, স্পেন সীমান্তের একেবারে কাছেই অবস্থিত শহরটি। নাম মারতোলা। গুয়াদিয়ানা নদীর তীরে অবস্থিত সেই শহরের অনতিদূরেই সারি সারি পাহাড়। সেই পাহাড়ের পাদদেশে একটি ভবন, যার মাথায় শোভা পাচ্ছে গোলাকৃতি গম্বুজ
এবারের ‘বন্দুকবাজ’ কোনও অবয়ববিহীন আততায়ী নয়। নিজেকে ম্যানিফেস্টোতে শ্রমিক শ্রেণির সদস্য জাহির করলেও, তিনি এমন একটা বিদ্বেষপূর্ণসাদা এলিট শাসক সমাজের বেলাগাম হওয়া হিংস্র মুখ, যাঁরা কোর্ট-প্যান্ট-টাই পরে সংসদে, গণমাধ্যমে বা বিদ্যায়তনিক ময়দানে প্রতর্ক তৈরি করে— উপনিবেশিকতাবাদের সময়কার শ্বেত আধিপত্য কী করে উত্তর-উপনিবেশিক যুগেও ‘মানবতা’, ‘মানবাধিকার’, ‘সুশাসন’ ইত্যাদিশব্দের আশ্রয়ে জিইয়ে রাখা যায়।