ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেভেন-সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য একসময় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠিগুলোর তৎপরতায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিদ্রোহ দমন করতে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। এই সাতটি রাজ্যের একটি হচ্ছে মনিপুর। রাজ্যের প্রধান জনগোষ্ঠী হিন্দু মেইতেইদের সাথে খ্রিস্টান উপজাতীয় কুকিদের নতুন করে সংঘাতে এই রাজ্যে চরম অস্থিরতা চলছে গত প্রায় দুই মাস ধরে...
পাকিস্তান ও ভারত প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল ১৯৯৮ সালে। এরপর দুই দেশই সিদ্ধান্ত নেয়, আর পরীক্ষা তারা করবে না। তখন থেকেই পারমাণবিক শক্তি কার্যত দুই দেশের জন্য প্রতিরোধ সক্ষমতা হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহ নানা চড়াই-উৎরাইয়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। বহু বিশ্লেষক বলেছেন, বিশ্ব তৃতীয় পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে...
উপসাগরীয় দেশগুলো ভারতের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় অভিবাসনের দিক থেকে এই অঞ্চল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। ২০১৯ সালে কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগে এই অঞ্চল থেকে ভারত যে রেমিটেন্স পেয়েছিল, সেটা ছিল ভারতের জিডিপির দুই শতাংশ। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতিক্রিয়াকে তাই ভারত সরকার অবহেলা করতে পারে না। ভারতে মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব চরম আকার ধারণ করার প্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশগুলো এর আগে বহুবার উদ্বেগ জানালেও ভারত সেগুলোকে পাত্তা দেয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিজেপির শীর্ষ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তার চরম ঔদ্ধত্মপূর্ণ বক্তব্যের পর উপসাগরীয় দেশগুলো যখন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালো, তখন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। যদিও উপসাগরীয় দেশগুলো দাবি জানিয়েছে, ভারতকে এ জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
ইসলামাবাদে টিম-ইমরানের ইনিংস তছনছের পর দক্ষিণ এশিয়ার চলতি বসন্ত নি¤œচাপ তৈরি করে কলম্বোতে। রাজাপক্ষেদের পারিবারিক শাসনে দেশটির অর্থনীতি জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়েছিল। জিনিসপত্রের লাগামহীন দামে দিশেহারে মানুষ আস্তে-আস্তে রাস্তায় নামতে থাকে বিরোধীদল ছাড়াই। প্রায় এক মাসের এই জন-আন্দোলন ইতোমধ্যে সিংহলী বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের অপরাজেয় প্রতীক রাজাপক্ষে বংশের ডালপালা অনেকখানি মাটিতে নামিয়ে এনেছে। প্রথমে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় অর্থমন্ত্রী বাছিলকে। এরপর গেছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা। এরা উভয়ে ভাই। একই বংশের তৃতীয় সন্তান গোতাবায়া এখনও প্রেসিডেন্ট হিসেবে টিকে থাকলেও এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, রাজাপক্ষেদের প্রতি সিংহলিদের পুরানো বিশ্বাস ও ভরসার অল্পই আর অবশিষ্ট আছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে যোগী ২০২৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বলে আভাস দেয়া হয়েছে।