ভারতের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর কাশ্মির জ্বলতে থাকে। লাদাখের বরফে জ্বলে উঠে চীনের ক্রোধ। কাশ্মিরে চলতে থাকে স্বাধীনতার দাবি নিয়ে লড়াই। এই লড়াইয়ের শক্তি যোগায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভূখন্ডটি। বর্তমানে কাশ্মিরের একটি অংশ ‘আজাদ কাশ্মির’ দেখভাল করছে পাকিস্তান। তারা মনে করে বাকি অংশটাও ভারতের অংশ নয়। এই ‘ইস্যু’ নিয়ে নিয়মিতভাবে পাক-ভারত উত্তেজনা লেগেই থাকে। অন্যদিকে লাদাখের একটি অংশের প্রতি দাবি আছে চীনের। দেশটি মনে করে গালওয়ান উপত্যকাসহ বেশ কিছু এলাকা তাদের, বৃটিশদের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে একে ভারতের মানচিত্রর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে
চীন এখন ভারতকে একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে চায় যে, হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা মেনে চলো, নয়তো লাদাখে মুখোমুখি হয়ে ১৯৬২ সালের চাইতেও করুণ পরিণতি ভোগের জন্য প্রস্তুত হও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি চীনের এ বার্তায় সাড়া না-দেন, তাহলে ভারতকে ১৯৬২ সালের চাইতেও কঠিন সাজা দেবে চীন। তখন মোদির পরিণাম হবে ঊনিশ শতকের রুশ ইতিহাসবিদ ভাসিলি ক্লিয়ুচেভস্কির সেই অবিস্মরণীয় উক্তির মতো : ''ইতিহাস আমাদের কিছুই শিক্ষা দেয় না, কিন্তু তার কাছ থেকে শিক্ষা না-নিলে সাজা দেয়।''
চীন ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক দিন দিন শুধু অবনতির দিকেই যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে চীন ও পাকিস্তান মিলে ভারতের ওপর পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে আকস্মিকভাবে হামলে পড়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে ভারতের অনেকের কাছে
রহস্যময় গোত্র সেন্টিনেলিজ এবং জারোয়া। জারোয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও সেন্টিনেলিজরা রয়ে গেছে আড়ালে। বৃটিশ সময় থেকে এদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হতে হয়েছে। ভারত সরকারও বহুবার চেষ্টা করেছে। সেন্টিনেলিজরা আপোষহীন। এখনো দ্বীপের কাছে ঘেঁষতে দেয় না বাইরের লোকদের
ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা একটা জ্বলন্ত সত্য দেখেও দেখছেন না যে, চীন ও ভারতকে বিচ্ছিন্ন রেখে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকার মাথার ওপর ছড়ি ঘোরানোই মার্কিনীদের আসল উদ্দেশ্য। তারা কিছুতেই এশিয়ার দুই সুপার পাওয়ার চীন ও ভারতের মধ্যে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা হতে দেবে না। কিন্তু ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না। তারা চীনের সবকিছু নিয়েই বিভ্রান্তিতে ভোগেন