নরেন্দ্র মোদির শাসনে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন মোটেও ভালো নয়, বরং বলা যায়, বেশ খারাপ। টাকার টানাটানিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন কর্মসূচি। অস্ত্রশক্তিতে সুপার পাওয়ার হবে কী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়মিত বেতন দেয়াই কষ্টকর হয়ে পড়েছে মোদি সরকারের। তাই বাধ্য হয়ে সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন কর্মসূচি কাটছাঁট করছে তারা
ভারতের দাদাগিরির বিরুদ্ধে নেপালের জনগনের মধ্যে ক্ষোভ আছে। রাজনীতিকররাও ভারতবিরোধী হয়ে উঠেছেন। দেশটিতে ভারত বিরোধী হ্যাশট্যাগ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, ভারত নেপালকে নিজের মর্জিমাফিক চলতে বাধ্য করতে চায়। চীন থেকে নেপালকে দূরে রাখতেও মরিয়া নয়াদিল্লি
প্রবীণরা ভালো বলতে পারবেন, একসময় চীন ও ভারতের মধ্যে ছিল গলায় গলায় দোস্তি। সে-সময় ভারতে প্রায়ই স্লোগান শোনা যেত, ''চীন-ভারত ভাই ভাই''। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময় থেকে সেই 'ভাই ভাই' সম্পর্কটা হয়ে পড়ে দুশমনের। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীনের কাছে ভারত পরাজিত হয়। সমস্যার সূত্রপাত হয় তখন, যখন তিব্বত দখল করার পর চীন ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীনকেও নিজের এলাকা বলে দাবি করে। এভাবে যে সমস্যার শুরু হয় তা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে গড়ায়
ভারতের এইসব পদক্ষেপকে সমালোচকরা দেখছেন ভিন্নভাবে। তারা মনে করছেন, ধর্মীয় আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে কোনো একটি কার্যকর দাউয়াই খুঁজতে মরিয়ে হয়ে উঠেছে দেশটির সরকার। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় রীতির মাহাত্ম তুলে ধরতে চাইছেন তারা। এর সুযোগে নতুন করে জেগে উঠেছে পুরনো কিছু কু-সংস্কারও
অনেক বিশ্লেষক বিজেপি সরকারের প্রতি ভারতীয় মিডিয়ার অন্ধ সমর্থনকে চিয়ার লিডারের সাথে তুলনা করেছেন। এমনকি সরকারের বিভিন্ন ধরনের সাম্প্রদায়িক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থনের মাধ্যমে মিডিয়াও সাম্প্রদায়িক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ভারতের গণমাধ্যম স্বাধীন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। ভারতের গণমাধ্যমের বর্তমান ভূমিকা নিয়ে খ্যাতিমান বিশ্লেষক ভিম ভুরটেলের একটি প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে এশিয়া টাইমসে। সেখানে তিনি বলছেন, ভারতের করপোরেট মিডিয়া বিশেষ করে টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলো গনতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি