করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর সাথে বিশ্ব অর্থনীতিতে তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। অভূতপূর্ব এক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক শিল্পোৎপাদন খাত। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির রথী-মহারথী সব দেশেরই উৎপাদন খাত এখন পুরোপুরি ধরাশায়ী।
লকডাউনে গোটা ভারতজুড়ে হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে ভয়াবহ এক মানবিক সঙ্কট। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারত। লকডাউনের কারনে মানবিক বিপর্যয়কে হিউম্যান ট্রাজেডি এবং হিউম্যানিটারিয়ান ক্রাইসিস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
পাল্টে গেছে দাবার চাল। এখন খাঁচায় বন্দি হয়ে আছে মানুষ। আর অবাধ বিচরণ করছে বন্যরা। নতুন করে জাগছে প্রকৃতি। পৃথিবী এমন একটা অবস্থায় দাঁড়াবে, ঠিক কিছুদিন আগেও কি ভাবা যেতো? না!
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কাবু বিশ্ব। ঘরে বন্দি মানুষকে তাড়া করছে দুঃসহ আতঙ্ক। সময় কাটছে শ্বাসরুদ্ধকর। কবে কাটবে এই সঙ্কট? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সঙ্কট এমনি এমনি কেটে যাবে না। এর বিপরীতে লড়াই করতে হবে মানুষকে। আর প্রতিটা লড়াইয়ে চাই যুতসই নেতৃত্ব। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বনেতাদের কতোজন নিজেদেরকে সত্যিকারের নেতা হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছেন?
ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দুনিয়াজুড়ে বিতর্ক চলছে। দিল্লিতে মুসলিম হত্যাকান্ডের পর ভারতের ভাবমর্যাদা দারুনভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ বহুত্ববাদি সমাজের যে দাবি ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব করে আসছিলো তা এখন ভুল প্রমানিত হচ্ছে। ভারত এখন একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদি রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করছে।