সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে আলোচিত দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দুই দেশের রাজনীতি, সরকারব্যবস্থা, স্থিতিশীলতাসহ অনেক কিছুতেই দেশ দুটি পরস্পরের সাথে জড়িত। এটি যে শুধু বর্তমানে তা নয়, ঐতিহাসিককাল থেকেই দেশ দুটি বিভিন্ন ইস্যুতে একের অন্যের সাথে জড়িয়েছে। সেটি কখনও আন্তরিকতার, আবার কখনও শত্রুতার। জাতিসঙ্ঘে পাকিস্তানের সদস্য পদ লাভের প্রস্তাব যখন উঠেছিল, তখন যে একটি মাত্র দেশ তার বিরোধিতা করেছিল, সেটি ছিল আফগানিস্তান। আবার কালের পরিক্রমায় ইসলামাবাদই হয়ে ওঠে কাবুলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক নানা তিক্তত আর ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে যুগ যুগ ধরে। পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি আফগান মদদ দিয়েই এর সূত্রপাত। এর জবাব হিসেবে পাকিস্তানও আফগান সশন্ত্র গোষ্ঠিগুেেলার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আবার কখনো আফগানিস্তান ভারতের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তবে এসবের মাঝেও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ছিল প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। আর ল্যান্ডলকড দেশটিকে বাণিজ্য সুবিধা দিতেও বিভিন্ন সময় পাকিস্তান এগিয়ে এসেছে। পাকিস্তানের করাচি বন্দর ব্যবহার করতো আফগান বণিকরা।
১৮৯৩ সালে ডুরান্ড লাইন চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তানের পূর্ব সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। ওই সময় এর পেছনে ছিল ব্রিটেনের বড় স্বার্থ, কারণ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ঔপনিবেশিক মুকুটের মুক্তা হিসেবে খ্যাত ব্রিটিশ ভারতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ছিলব্রিটিশ শাসকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময়ে নির্ধারিত ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে আফগান সীমান্তই এখন পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যকার সীমান্ত।
আফগানিস্তানের তৎকালীন আমির আবদুর রহমান ব্রিটেনের এই সীমান্ত বিষয়ক প্রস্তাবনার বিরোধীতা করেছিলেন, কারণ এর মাধ্যমে পশতুন জাতির ভূখণ্ড বিভক্ত হয়ে পড়ে। বিশাল এই জাতি গোষ্ঠিটি ভাগ হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে।
পাকিস্তানের মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার জেমস স্পাইনের মতে , একই সংস্কৃতি, ইতিহাস, ও রক্তের বন্ধনে থাকা জাতি গোষ্ঠির অর্ধেক লোক পরে গেছে সীমান্তের ভারতীয় অংশে, বাকিরা অন্য পাশে।
আমির আবদুর রহমান ব্রিটিশদের চাপে সেই সীমান্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখা হয়েছিলো, কারণ আফগানিস্তানের কেন্দ্রিয় সরকার তখন ব্রিটিশদের সহায়তার ওপর নির্ভর ছিল। এছাড়া হাজারা সম্প্রদায়ের সাথে গৃৃহযুেেদ্ধ ব্যস্ত ছিল তার বাহিনী, যে কারণে এই সীমান্ত ভাগাভাগির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পারেননি। যদিও আফগানিস্তান কখনোই এই সীমান্তকে মেনে নিতে পারেনি। তবুও ব্রিটিশদের মতো ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো খুব বেশি শক্তি তাদের ছিল না।
ভারতের সাথে ভাগাভাগি হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হলে আফগানিস্তনের দাবিকৃত অঞ্চলগুলো পড়ে পাকিস্তানের অংশে। আফগানদের সব ক্ষোভও এসে জমা হয় নবগঠিত রাষ্ট্রটির ওপর। কিছুদিন পর পশতুনদের জন্য পৃথক ভূখণ্ড হিসেবে পশতুনিস্তান গঠনের দাবি সামনে আনে আফগানিস্তান। কাবুলের দাবি ছিল পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় পশতুন অধ্যুষিত এলাকাগুলো পৃথক করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের। দাবিকৃত এই রাষ্ট্রের আয়তন বিভিন্ন সময় পরিবর্তন হলেও বালুচ অধ্যুষিত এলাকাগুলোসহ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেকাংশ ছিল এতে। খাইবার পাখতুনখোয়া, কেন্দ্রশাসিত উপজাতীয় অঞ্চল ও উত্তর বালুচিস্তান ছিল এর মধ্যে।
ইতিহাসবিদদের মতে, এভাবে রাষ্ট্রটি গড়ে উঠলেও তা বেশিদিন টিকত না বরং একসময় সেটি আফগানিস্তনের সাথে একীভূত হয়ে যেত। তাহলে আফগানিস্তানের অনেক বড় একটি কৌশলগত সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। ভূবেষ্টিত দেশটি বালুচ অধ্যুষিত এলকাটিকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে পেলে সেই এলাকা হতে পারতো তার আবর সাগরের প্রবেশদ্বার। সে কারণেই হয়তো সীমানা নিয়ে এই ক্ষোভটি দশকের পর দশক ধরে পুষে রেখেছিল আফগানিস্তান।
দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বৈরীতার প্রথম উপলক্ষ্যও ছিল পশতুন ইস্যুটি। পশতুনরা মূলত ইরানীয় জাতিগোষ্ঠি। মধ্যপ্রাচ্যের কুর্দিদের মতো তারাও আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখার কারণে একাধিক দেশে ভাগ হয়ে পড়েছে। আফগাানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল ও পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে এদের বসতি। পশতু ভাষাভাষী এই জনগোষ্ঠিটি পাকিস্তানে পাঠান নামে পরিচিত। ভারতেও আছে কিছু পশতুনদের বাস। সব মিলে পশতুনদের সংখ্যা ৬৩ মিলিয়নের কাছাকাছি।
পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর দেশটির সদস্যপদ নিয়ে জাতিসঙ্ঘে যখন ভোটাভুটি হয়েছিল, আফগানিস্তান একমাত্র দেশ যারা এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। এই অবস্থানের স্বপক্ষে তাদের যুক্তি ছিল- পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পশতুন অধ্যুষিত ভূখণ্ডগুলোর স্বাধীনতার দাবি।
এরপরও পশতুনিস্তান নাম রাষ্ট্র গঠনের অভিপ্রায় ত্যাগ করেনি আফগানিস্তান। বরং পাকিস্তানের পশতুনদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হতে নানাভাবে উস্কানি দেয় তারা। অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করে। এমনকি নিজেরাও ছোট পরিসরে বেশ কিছু হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে। এর পেছনে সোভিয়েত ইন্ধনও ছিল।
করাচি ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিজিটিং প্রফেসর জর্জ মনটাংনো মনে করেন, পাকিস্তান সৃষ্টির অনেক বছর পরও আফগান এজেন্টরা পািকস্তানের পশতুন এরিয়া থেকে অপতপরতা চালিয়েছে। তাদের সব কিছু দিয়ে সহযোগিতা করেছে আফগানিস্তান।
১৯৫৫ সালের দিকে এসে পাকিস্তান তার উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠত করলেও আফগানিস্তান আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। কাবুলের পাকিস্তান দূতাবাস থেকে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে সেখানে পশতুনিস্তানের পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়। যে ঘটনায় ১৯৫৭ উভয় রাষ্ট্র নিজ নিজ রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়।
বেশ কয়েকবার আফগান সৈন্য ও উপজাতীয় যোদ্ধারা পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিল। এই বৈরীতার কারণে প্রতিবেশী দুটি দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি দুই দশকেও। এর ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল ভূবেষ্টিত দেশ আফগানিস্তান। ওই সময় ইরানের শাসক শাহ উভয় দেশের মধ্যে মীমাংসার পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুেেত সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দ্রুত দুটি দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও গড়ে ওঠে; কিন্তু এক দশকের মাথায় আবার ফাটল ধরে সম্পর্কে।
১৯৭৩ সালে দাউদ খান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকরে আবারো পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ইন্ধন দেয়া শুরু করেন। এবার শুধু পশতুন নয়, জাতিগত বালুচদেরও বিচ্ছিন্নতাবাদে সহায়তা করতে শুরু করে আফগানিস্তান। দাউদ খানের সাথে সুসম্পর্ক ছিল মস্কো ও নয়াদিল্লির। ওই সময় পূর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ায় এমনিতেই সংকটে ছিল পাকিস্তানের সরকার।
আফগানদের এসব তৎপরতার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা করেন পাকস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো। পাকিস্তান গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলে আফগানিস্তানের মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর সাথে। পেশোয়ার ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এ জেড হিলালি মনে করেন , এক্ষেত্রে আফগানিস্তনের ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নপন্থী দাউদ সরকারের বিরোধীদের সহজেই হাত করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।
গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, বুরহানউদ্দিন রব্বানীর মতো বিরোধী নেতাদের সহযোগীতা করতে শুরু করে পাকিস্তান। মূলত, আফগান মিলিশিয়াদের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক গড়ে ওঠার জন্য দায়ী ছিলেন আফগান নেতারাই। পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি আফগানদের মদদের জবাব দিতেই পাকিস্তান একই ধরণের পদক্ষেপ নেয়।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের এই সহযোগিতা আফগানদের জন্য শাপে বর হয়ে ওঠে। কারণ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা দিয়েছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকেও যত সহযোগিতা এসেছে সেগুলোও পাকিস্তানের মাধ্যমেই পৌছেছে আফগান মুজাহিদদের কাছে। এই সময়ে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কটা ক্রমশই মজবুত হয়। ১৯৯০ এর দশকে তালেবান গঠন এবং এই গোষ্ঠিটির শাসন ক্ষমতায় আসার পর সেটি আরো জোরালো হয়েছে। যদিও ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তালেবান বিরোধী সামরিক অভিযানেও আবার সহযোগিতা করেছে পাকিস্তান।
সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হকের সময়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে ধর্মের প্রভাব বেড়ে যায়। সৈনিকদের ইসলামিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ রক্ষায় উতসাহিত করতে এ সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। একসময়ের সেক্যুলার প্রধান পাকিস্তানের বাহিনীর নেতৃত্বে চলে আসেন ধর্মপরায়ন কর্মকর্তারা। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, পাক সেনাবাহিনীর এই পরিবর্তন আফগানিস্তানের ধর্মভিত্তিক গ্রুপগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে ভুমিকা রেখেছে।
রাজনৈতিক পর্যায়ের সম্পর্কের গণ্ডি ছাড়িয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে আলাদা সম্পর্ক গড়ে ওঠে আফগাানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠির ও সরকারের সাথে। পাকিস্তান এক সময় প্রতিশোধ হিসেবে আফগান মিলিশিয়াদের প্রতি যে সমর্থন দেয়া শুরু করেছিল এক সময় সেটি আত্মিক সর্ম্পকে পরিণত হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা দখল করা তালেবানের সাথেও তাদের সুসম্পর্ক ছিল।
কিন্তু নাইন ইলেভেনের এর পরে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও হুমকির মুখে পাকিস্তান শুধু সরেই আসেনি, যুক্তরাষ্ট্রকে আফগান অভিযানে নিজস্ব ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে। সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররাফ পরবর্তীতে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তালেবান বিরোধী অভিযানে পাকিস্তান সহায়তা না করলে বোমা মেরে পাথুরে যুগে ফিরিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ততকালীন মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড আরমিটেজ।
এরপরও পাকিস্তানের সাথে তালেবানের সম্পর্ক রক্ষার ঘটনা বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে। এমনকি পাকিস্তানের মাটিতে তালেবানের আশ্রয় পাচ্ছে বলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত দাবি করে। তবে পাকিস্তান তা বরাবরই অস্বীকার করো আসছে। মার্কিন দখলদারিত্বে যাওয়ার পর দেশটির প্রশাসনের সাথে পাকিস্তানের অনেকগুলো বাণিজ্যিক সমঝোতা হয়েছে। দুই দেশ ট্রানজিট ট্রেড এগ্রিমন্ট গঠন করেছে এবং পরবর্তীতে এতে তাজিকিস্তানকে যুক্ত করে বাণিজ্যের পরিসর বাড়ানো হয়েছে। কাবুল ও ইসলামাবাদ যৌথ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করেছে কয়েক বছর আগে। এছাড়া প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা তথ্য সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা গড়ে উঠেছে।
২০২১ সালে মার্কিন সৈন্যদের বিদায়ের পর তালেবানের সাথে বাইরের যেসব দেশের বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে পাকিস্তান সবার শীর্ষে। চীন বর্তমানে আফগানিস্তানে যে স্থিতিশীলতা আনতে ভুমিকা রাখতে শুরু করেছে, তার নেপথ্যেও পাকিস্তানের অবদান রয়েছে বলে মনে করা হয়।
একে অন্যের ভূখণ্ডে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল তাতে আফগানিস্তান ব্যর্থ হলেও পাকিস্তান কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিক ট্রাকেই রয়েছে। চার দশক আগে পাকিস্তান আফগানিস্তানের সরকার বিরোধী গোষ্ঠিগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল কৌশলগত স্বার্থরক্ষায়, সেটিই তাদেরকে এতগুলো বছর পর আফগান সরকারের সবচেয়ে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।